স্বপ্ন ও ইচ্ছাশক্তির পাঠাগার, এখন বন্যা আর চোখের পানিতে ভাসছে!

মোঃ ইমরানুল হাসান
শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি।

স্বপ্ন ও ইচ্ছাশক্তির পাঠাগার,
এখন বন্যা আর চোখের পানিতে ভাসছে!
—-
স্বপ্ন ও ইচ্ছাশক্তি প্রতিটা মানুষের মাঝে বিরাজমান। কিন্তু সেই স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে গেলে চারপাশ থেকে আশে নানা প্রতিকূলতা।
এই প্রতিকূলতাকে ডিঙিয়েই নিজের ইচ্ছাশক্তির জোরে সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামে গড়ে উঠেছে পাঠাগার।

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জানান
চলতি বন্যায় ভাসিয়ে নিয়েছে অনেক গুলা বই এবং অনেক আসবাব পত্র!
সেদিন পাঠাগারে প্রবেশ করেই চোখের পানি ফেলতে হয়েছে নিভৃতে!
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হতে না হতেই,বন্যার পানি আর চোখের পানি এক হয়েছে।
তাহলে আমার স্বপ্ন কী এখানেই শেষ…?
আমি আর পাঠাগারে বসে বই পড়তে পারবোনা…..?
আমি কি বইয়ে ঘ্রাণ নিতে নিতে ঘুমাতে পারবোনা….?
অজান্তেই কান্না চলে এসেছে…….
নিজের আর্থিক দুরাবস্থাকে পেছনে ফেলে বই পড়ার স্বপ্নকে ধারণ করে ইতিমধ্যে বন্ধু-বান্ধব শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতায় গ্রামে নিজের ঘরের বারান্দায় গড়ে তুলেছি পাঠাগার।পড়ার অভ্যাস থেকে স্বপ্ন দেখে পাঠাগার গড়ে তুলি।
২০২০ সাল থেকে বই সংগ্রহ করতে শুরুকরি। ২১ সালে এসে বইয়ের পরিমাণ প্রায় ২০ থেকে ৩০ টা ।ধীরে ধীরে পাঠাগারের বই এর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
শিক্ষক তরুণ সাংবাদিক ইয়াকুব শাহরিয়ার ৫ টি বই, যুবদল নেতা মনসুর আহমদ ২ টা বই, আরেক জন দিয়েছিলেন ১০০ টাকা এবং ছাইফ মোর্শেদ ৩ টি চেয়ার দিয়েছিলেন;কৃতজ্ঞতা স্বরুপ ফেইসবুকে প্রকাশিত হলে এতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে সহযোগীতার আশ্বাস দেন।এই দিয়ে এবং আমার অর্থায়নে দিয়ে বই কিনে শুরু করি চন্দ্রপুর ইসলামিক পাঠাগার।
আমার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পাঠাগারের জন্য বই,চেয়ার, সহ অনেক আসবাব পত্র পাঠাগারের সংগ্রহে আসে।
বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিনিয়ত বই পড়ার বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করি।
কিন্তু এমন স্বপ্ন যখন বন্যার পানির সাথে চোখের পানিও মেশে,তখন নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়………

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *