মোঃ সবুজ ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে মসজিদের নাম পরিবর্তন এবং কমিটির সভাপতির দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ করায় মোঃ জাহাঙ্গীর মাল ও মোঃ রুবেল নামের দুই মুসল্লীর উপর হামলা চালিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে রফিক মাস্টার গংদের বিরুদ্ধে।
আহতদের মুমূর্ষু অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলো ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিন চরপাতা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জাহাঙ্গীর মাল (৬৬) এবং তার ছেলে মোঃ রুবেল মাল(৩৫).
ঘটনাটি ঘটেছে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বিশ্ব রোড হাওলাদার বাজার ও দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের তরুমুল্লাহ মাল জামে মসজিদ এলাকায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের তরুমুল্লাহ মাল জামে মসজিদটির পুরাতন নাম অবৈধভাবে পরিবর্তন করে বর্তমান সভাপতি রফিক মাষ্টার গংদের পছন্দের হাজী সেকান্দর আলী নাম করণ নিয়ে এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অনুদানের টাকা এবং মসজিদের পাশে শায়িত ব্যাক্তিদের জন্য কবর দেওয়ার জায়গা বিক্রির টাকা বর্তমান সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম মাষ্টার আত্মসাতের প্রতিবাদ করায় জাহাঙ্গীর মাল আর রফিক গংদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আকস্মিক হাতাহাতি বেঁধে যায়। সেই ঘটনার সূত্র ধরে ২৩ জুলাই শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ব রোড হাওলাদার মার্কেটে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অটোরিস্কা চালক মোঃ রুবেলের উপর রফিক মাষ্টার ও তার ছেলে এস.আই মাসুমের নির্দেশ মোতাবেক
আব্বাস (৩২) পিতাঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃসবুজ(৩৫)পিতাঃ ছগির মাষ্টার,মোঃ ইমরান (৩০)পিতাঃ রুহুল আমিন,মোঃরাকিব(২৪)পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর সহ ৬/৭ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ
অতর্কিত ভাবে হামলা চালানোর সময় রুবেলের অসহায় আত্মচিৎকারে তার বাবা মোঃ জাহাঙ্গীর মাল ছুটে আসলে তার উপরেও চড়াও হয়। এতে করে বাপ-বেটা গুরুতরভাবে আহত হয়।পরে তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত জাহাঙ্গীর মাল জানান, মুসল্লীদের সকলেই জানেন যে,দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর যাবৎ এই মসজিদের নাম ছিলো তরুমুল্লাহ মাল জামে মসজিদ। কিন্তু রফিক মাষ্টার মসজিদের সভাপতি হবার পর থেকেই খুব সুক্ষ্মভাবে সবার অজান্তে মসজিদের নাম পরিবর্তন করে নিজের বাপের নামে নামকরণ