নীলফামারীতে জমি সংক্রান্তের জেরে মামার হাতে ভাগিনা খুনের ঘটনায় র‍্যাবের হাতে আটক চার

তপন দাস
নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন মামার হাতে ভাগ্নে খুনেট ঘটনায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে নীলফামারী র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব- ১৩) গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শের আলী ওরফে হানিফ (২২), ফকির উদ্দিন (২৭), সুরিতা বেগম (৪৮) ও মালেকা বেগম (২২)। তারা সবাই জেলার জলঢাকা উপজেলার বাসিন্দা।

গত ২০ জুলাই উপজেলার পূর্ব ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামে মামার হাতে ভাগনে খুনের এ ঘটনা ঘটে। এরপরই আসামিরা আত্মগোপন করেন।

সোমবার (২৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় রংপুর নগরীর পানি উন্নয়ন বোর্ডে র‌্যাব-১৩-এর অস্থায়ী সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-অধিনায়ক মেজর সৈয়দ মহিদুল ইসলাম।

র‌্যাব-১৩ কর্মকর্তা ঢাকা প্রকাশের প্রতিনিধি কে জানান, জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামা শের আলীর সঙ্গে ভাগনে খালেদ মাসুম ও ভগ্নিপতি মনোয়ার হোসেনের বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় গত ২০ জুলাই সকালে ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ উভয়কে ডেকে সালিসের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করেন। সালিস শেষে উভয়পক্ষ বাড়ি ফেরার পথে ওই ইউনিয়নের ফেডারেশন বাজার এলাকায় পৌঁছালে মামা-ভাগনের মধ্যে পথেই বাগবিতণ্ডা বাধে।

এ সময় আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরীর নির্দেশে ফকির উদ্দিনসহ অন্য আসামিরা ভাগনে খালেদ মাসুমকে ঘেরাও করে লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে মামা শের আলী লাঠি দিয়ে তার ভাগনে খালেদ মাসুদকে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে। এতে গুরুতর আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন খালেদ মাসুদ। পরে তাকে উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

র‌্যাব-১৩-এর উপ-অধিনায়ক মহিদুল বলেন, ওই ঘটনায় নিহত খালেদ মাসুমের বাবা মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই ঘটনার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপন করেন। র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৪ জুলাই রাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামা শের আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলেও জানায় র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *