কোয়েম্বাটোর সম্মেলনে সেরা গবেষকের স্বীকৃতি পেলেন সোনাগাজীর কৃতী সন্তান অধ্যাপক শুভময়

মোঃ আবু মুসা তুহিন, ফেনী জেলা প্রতিনিধি

কোয়েম্বাটোর সম্মেলনে সেরা গবেষকের স্বীকৃতি পেলেন সোনাগাজীর সেনেরখিল গ্রামের কৃতী সন্তান প্রাইমএশিয়ার অধ্যাপক শুভময় । মাইক্রোবায়োলজির বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার জন্য প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব সায়েন্সের ডিন ও মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. শুভময় দত্তকে সেরা গবেষক হিসেবে পুরষ্কৃত করেছে ভারতের তামিলনাড়ুর প্রফেশনাল এসোসিয়েশন। সম্প্রতি তামিলনাডুতে অনুষ্ঠিত কোয়েম্বাটোর সম্মেলনে তার হাতে পুরষ্কার তুলে দেয়া হয়।

পাশাপাশি ডায়রিয়ার চিকিৎসা (ড্রাগ ডেভেলপমেন্ট) সম্পর্কিত বিশেষ গবেষণার জন্য ২০২২ সালের কোয়েম্বাটোর কনফারেন্সের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় ড. শুভময় দত্তকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষকগণ এই কনফারেন্সে অংশ নেন।

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের এই অধ্যাপক দীর্ঘ ১৫ ধরে গবেষণাকাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। জার্নালে তার সর্বমোট ৩৮টি লেখা প্রকাশিত রয়েছে। এরমধ্যে ৩০টি আর্টিকেলই প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নালে।

ড. শুভময় ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার সেনেরখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্ট থেকে তিনি বিএসসি (অনার্স) এবং এমএসসি (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। জাপান সরকারের অন্যতম প্রথিতযশা মনবুকাগাকুশো বা মনবুশো স্কলারশিপ নিয়ে তিনি টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তরুণ পিএইচডি গবেষক হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টেফিক কংগ্রেস (সিএইচআরডি-২০০৯) কর্তৃক পুরষ্কৃত হন। হরমেল পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ পেয়ে ড. শুভময় দত্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যান্সারের চিকিৎসা বিষয়ে পোস্টডক্টরাল গবেষণাও সম্পন্ন করেছেন।

২০১৮ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেইফ সায়েন্স কনফারেন্সে বাংলাদেশি মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিসেবে তিনি অংশ নেন। এসব ছাড়াও তিনি ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে অনুষ্ঠিত মাইক্রোবয়োম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বিশেষ বক্তা হিসেবে অংশ নেন।

২০২১ সালে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মাইক্রোবায়োলজি: কোভিড-১৯ ও সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহ’- শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারের আহ্বায়ক ছিলেন অধ্যাপক ড. শুভময় দত্ত। এই সেমিনারে বিশ্বের ২৬টি দেশের ১৬০ জন গবেষক অংশ নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *