মোঃ তুহিন আলম রেজুয়ান নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ জসিম উদ্দিনের বিরোদ্ধে গুদামে ধান বিক্রি করা কৃষকদের বিভিন্ন হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। গুদামে ধান বিক্রি করার পান্থিক কৃষকরা সময় মত ধান বিক্রির টাকা পাওয়ার সহ খাদ্য নিয়ন্ত্রক জসিম উদ্দিন সরকারের হয়রানী বন্ধেরজন্য খাদ্য অধিদপ্তর মহা পরিচালক বরাবওে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,নবীগঞ্জে খাদ্য গুদামে ঘুষ ছাড়া কৃষকের ধান বিক্রির বিল পরিশোধ করেন না উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ জসিম উদ্দিন।চলতি বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহে ও বিল পরিশোধে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের বাদ দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান কেনার ও খাদ্য বান্ধব,ওএমএস, ডিলার নিয়োগ, খাদ্য সামগ্রী লাইসেন্স ইস্যুতে সরকারি নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত ফি আদায় করার অভিযোগ রয়েছে মোঃ জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সারা দেশের মতো নবীগঞ্জেও ধানের বাজারের অস্থিরতা বিরাজ করছে।অস্থির সময়ে ঘুষ, কৃষকদের সঙ্গে অসৎ আচরণসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে খাদ্যমন্ত্রী, মহাপরিচালক খাদ্য অধিদপ্তর,মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে অনুলিপি দেয়া হয়েছে।কৃষকদের পক্ষে ৭ জনের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।কৃষকরা জানান স্থানীয় খাদ্য গুদামে সরকারী নিয়ম নীতি মেনে তারা ধান বিক্রি করেন।ধানের বিল পরিশোধের সময় আসলেই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ জসিম উদ্দীন বিভিন্ন তাল-বাহানা শুরু করেন।কৃষকদের সাথে খারাপ আচরণও করেন খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এবং সময় মত তিনি অফিস করে না। ধান বিক্রির টাকার জন্য সব কাজ ফেলে অফিসে গিয়ে কৃষকরা বসে থাকতে হয় তার জন্য সারাদিন চলে গেলে উনাকে অফিসে পাওয়া যায় না।
অফিসে তিনি তা ইচ্ছেমত আসেন এবং চলে যান। এ ব্যাপারে জসিম উদ্দিন বলেন আমার বিরোদ্ধে অভিযোগকারী এখন গুদামে ধান দেয় নাই। আমার বিরোদ্ধে অভিযোগকারী সকল কৃষক একই ইউনিয়নের এটা আমার বিরোদ্ধে পরিল্পিত ষড়যন্ত্র। তার বিরোদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা এবং তাকে নাজেহাল করার জন্য অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীকে তিনি দায়ী করেচ্ছন।এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বলেন,অভিযোগ আমার কাছে করেননি।তবে অভিযোগটি দেখেছি আমার কাছে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হয়রানি মূলক অভিযোগ।অভিযোগ তদন্ত করে যদি উনি দোষী প্রমানিত হন তাহলে প্রসাশনিক বব্যস্থা গ্রহন করবো।
মোঃ তুহিন আলম রেজুয়ান
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
মোবাইলঃ ০১৬৪৬৪৬৮০৬২
তারিখঃ ৩০-০৭-২০২২ ইং