তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি::
ভোলার তজুমদ্দিনে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলা অবস্থায় ৬ জুয়াড়িকে আটক করেন। এ সময় নগদ টাকাসহ জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে জুয়া আইনে মামলা দায়ের করে জেলহাজতে প্রেরণ করে জুয়াড়িদের।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (৩০ জুলাই) রাতে এসআই সামিম সর্দারের নেতৃত্বে তজুমদ্দিন থানার ১১৪৯ নং সাধারণ ডায়েরিমূলে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে থানা এলাকায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানাসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় গোপন সংবাদে জানতে পারেন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ শম্ভুপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার উঠানে একটি দল প্রকাশ্যে জুয়া খেলছেন। পরে সামিম সর্দারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ৬ জুয়াড়িকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
আটককৃতরা হলেন, কামালের ছেলে মোঃ শাহিন (২৪), শাজাহানের ছেলে আলামীন (২৫), আঃ রবের ছেলে মোঃ জাকির (২৫), ইউনুচের ঝেলে মোঃ লোকমান (৩০), মোঃ নুরনবীর ছেলে শহিদুল (২২) ও শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়র্ডের গ্রাম পুলিশ ছায়েদুল হকের ছেলে মোঃ ফরিদ উদ্দিন (৩৮)। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ নগদ ৩৫হাজার ৭শত টাকা জব্দ করা হয়।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জিয়াউল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তি অভিযান পরিচালনা করে প্রকাশ্যে জুয়া খেলা অবস্থায় ৬জনকে আটক করা হয়। আর কিছু জুয়াড়ি পালিয়ে যায়। পরে তাদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা যায়, শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে এমন কোন অপকর্ম নেই যার সাথে গ্রাম পুলিশ ছায়েদুল হক জড়িত নেই। কিছু দিন পূর্বে লামছি শম্ভুপুর মৌজার ১৯৩৫ নং দাগে সরকারি খাস জমি দখল করে স্থায়ী পাকা ভবন নির্মাণ করেন। যেটির বিরুদ্ধে স্থানীয়রা সরকারী খাস জমি উদ্ধার চেয়ে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায় নাই। সরকারী দপ্তর সমূহ ফরিদের অদৃশ্য ক্ষমতার কাছে অসহায় হয়ে পড়েন। যার ফলে ফরিদ উদ্দিন কোন বাঁধা ছাড়াই সরকারী জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করতে সক্ষম হয়।