রাজশাহী বাঘার আড়ানীতে বড়াল নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

আবুল হাশেম
রাজশাহী ব‍্যুরোচীফঃ

রাজশাহীর আড়ানীতে বড়াল নদী রক্ষার দাবিতে বাঁধ-সুইচ গেট ভেঙে সেতু করো, বড়াল নদী চালু করো-এ স্লোগানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩১ জুলাই) সকাল ১১টায় আড়ানীতে বড়াল নদীর ব্রিজের উপর এই মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড়াল নদীর সব বাঁধ, স্লুইস গেট, অবৈধ দখল মুক্ত এবং পূনঃখননের দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন বড়াল নদী রক্ষা আন্তর্জাতিক কমিটি। রোববার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বড়াল নদী রক্ষা আন্তর্জাতিক কমিটির আহবায়ক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আজিবর রহমান পাতার নেতৃত্বে ও স্থানীয় ফজলে রাব্বির সার্বিক তত্বাবধায়নে আড়ানী বড়াল নদীর ব্রিজের উপর ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আড়ানী পৌর যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান জুয়েলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চারঘাট উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব কুমার প্রামানিক পতুল, নিমপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জুলহাস আলী লিটন, রাজশাহী জেলা ওয়ার্কার্স পাটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ফরজ আলী, আড়ানী পৌরসভার ৩ নম্বর ওযার্ড কাউন্সিলর আফতাব আলী প্রামানিক, সাবেক কাউন্সিলর জিল্লুর রহমান, আড়ানী পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি মাজদার রহমান, মনিরুল ইসলাম, করিম উদ্দিন, বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আনোয়ার হোসেন লোটাস, মাহাবুবুর রহমান, নিমপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জিল্লুর, আড়ানী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খান নাইম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাড়ল নদীর বিভিন্ন স্থানে স্লইসগেট ও বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে স্লুইস গেট ও বাঁধ নির্মানের ফলে ক্রমান্বয়ে বড়াল নদী শুকিয়ে শীর্ণ খালে পরিনত হয়েছে। এখন বড়ালে তলদেশে বিভিন্ন আবাদ করা হচ্ছে। বর্ষায় নদীতে কিছু পানি জমলেও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই শুকিয়ে মরা নদীতে পরিনত হয়।

মানববন্ধনে আজিবর রহমান পাতা বলেন, বড়াল নদীকে রক্ষা করতে পারলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাত্রার মান উন্নয়ন সহ লাখ লাখ মানুষ বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাবে। ছোট বেলায় বহমান বড়াল আর নেই, মৃত প্রায় বড়ালকে বাচাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর চারঘাট থেকে পদ্মার শাখা নদী হিসেবে বড়াল নদীর উৎপত্তি হয়ে রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট, নাটোরের বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে বাঘাবাড়ী হয়ে হুড়া সাগরের বুকে মিশে নাকালিয়ায় যমুনায় পড়েছে। সেই সময় যোগাযোগের সুবিধার কারনে বড়াল নদীর দুই পাড়ে আড়ানী বাজার, রুস্তমপুর পশুহাট, পাঁকা বাজার, জামনগর বাজার, বাশবাড়িয়া বাজার, তমালতলা বাজার, বাগাতিপাড়া থানা, দয়ারামপুর সেনানিবাসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৮১-৮২ অর্থ বছরে নদীর তীরবর্তী উপজেলাগুলোকে বন্যামুক্ত করার জন্য উৎসমুখ চারঘাটে বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কৃষক, জেলেসহ লাখ লাখ মানুষ বেকারত্ব হয়ে পড়েছে। এই বেকারত্বেও হাত থেকে মুক্ত করতে হলে বড়াল পূনঃখনন করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *