প্রশংসায় ভাসছে পুলিশ। নবাবগঞ্জ থানার অপহরণ মামলার ভিকটিম ঢাকা থেকে উদ্ধার।। অপহরনকারী জেল হাজতে।

মোঃ মোরসালিন ইসলাম দিনাজপুর প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনির শিহ্মার্থী আশামনি ১৭(ছদ্ম নাম) নবাবগঞ্জের আফতাবগঞ্জ এলাকা থেকে অপহরণ হলে পুলিশ ওই ভিকটিমকে ঢাকা মহানগরির রামপুরা এলাকা থেকে উদ্ধার করে। সঙ্গে অপহরনকারী মোঃ শামীম(৩৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
গত মঙ্গলবার নবাবগঞ্জ থানার আফতাবগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের উপ পুলিশ পরির্দশক মামলার তদন্তকারী অফিসার মোঃ আহনাফ তাহমিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দহ্মতা ও সাহসিকতার সহিত ঢাকা মহানগরীর রামপুরা এলাকা থেকে মধ্য রাতে ভিকটিম উদ্ধার সহ অপহরনকারীকে প্রেফতার করে। ৪ আগস্ট ( বৃহস্পতিবার) নবাবগঞ্জ থানার মাধ্যমে অভিযুক্ত শামীমকে দিনাজপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।এবং ভিকটিমকে আদালতে জবানবন্ধি ও ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে তার পিতার জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলা সূএে জানা গেছে, অপহরনের দায়ে অভিযুক্ত মোঃ শামীম হোসেন বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার শিয়াল পাড়া গ্রামের মৃত গুলবর রহমানের ছেলে। সে দিনাজপুর ফুলবাড়ী শহরের পৌর এলাকায় বিয়ে করে। পরবতীতে আশামনিদের মহল্লায় ভাড়া থাকতে শুরু করে। এই সুবাদে ভিকটিমের সাথে পরিচয়। দেখা হলে বিভিন্ন সময় অপ্রাপ্ত আশামনিকে বিভিন্ন উপায়ে প্রলােভন দেখিয়ে প্রবুব্দ করার ফন্দি করত। আশা ঈদের পর ১৩ জুলাই আফতাবগঞ্জ এলাকায় তার নানা বাড়িতে বেড়াতে যায়। ওই দুস্কৃতিকারী বিষয়টি জানতে পেরে হঠাত ১৫ জুলাই সকাল ৬. ৩০ মিনিটে ভিকটিমের নানার বাড়ি এলাকায় গিয়ে সেল ফোনের মাধ্যমে দেখা করতে বলে। আশামনি সরল বিশ্বাসে বাড়ির বাহিরে দেখা করতে এলে কথা বলতে বলতে পাশে রাস্তায় গেলে দুস্কৃতকারী শামীম এক পর্যায়ে স্বদলবলে মুখে কাপড় দিয়ে জোর পূর্বক প্রাইভেট কারে উঠিয়ে অপহরন করে নিয়ে যায়।পরে তাকে না পাওয়া গেলে অনেক খোঁজ – খবরের পর নবাবগঞ্জ – বিরামপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার অহিদুন্নবীর ঐকান্তিক সহযোগিতায় নবাবগঞ্জ থানায় ভিকটিমের পিতা কণ্যা অপহরনের দায়ে একটি মামলা করেন। মামলা নং ৮/১১০ ( তাং২৪.৭.২২) নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ আফতাবগঞ্জ তদন্ত কেন্দের (নবাগত) উপ পুলিশ পরির্দশ মোঃ আহনাফ তাহমিদকে এই মামলার দায়িত্ব ভার অর্পণ করেন। তিনি নবাবগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর মোঃ মমিনুজ্জামানের সহযোগিতায় দহ্মতা ও সাহসিকতার সহিদ ভিকটিম উদ্ধার সহ অপহরনকারীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ৭ আগস্ট রাতে ইন্সপেক্টর তদন্ত মোঃ মমিনুজ্জামানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান,অপহরণের সঙ্গে জড়িত সহযোগীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উপ পুলিশ পরির্দশক মোঃ আহনাফ তাহমিদ ঢাকা মহানগর থেকে ভিকটিম উদ্ধারসহ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করায় তিনি পেশাদারিত্ব, দহ্মতা ও সাহসিকতার স্বাহ্মর রেখেছেন বলে সচেতন মহল মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *