তপন দাস নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর জলঢাকায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের চালের কার্ড নবায়ন ও ডাটাবেজ তৈরির জন্য চেয়ারম্যানের নির্দেশে পাঁচশত টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যলয়ে এসে শতশত ভুক্তভোগী কার্ডধারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন।জানা গেছে ২ নং ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের অসহায় হতদরিদ্রদের জন্য ১০১৮টি কার্ড বরাদ্দ রয়েছে। সেই কার্ড নবায়ন ও ডাটাবেজ তৈরির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মৃনাল চন্দ্রের কাছে গেলে কাছে গেলে।তিনি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড এর মেম্বারের কাছে পাঠিয়ে দেন।ওই ওয়ার্ডের মেম্বার অনলাইনে ডাটাবেজ করা বাবদ ৫০০টাকা করে দাবি করেন এবং এই টাকা চেয়ারম্যানের নির্দেশে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ।পাঁচশত টাকার এক টাকা কম হলেও কার্ড নবায়ন করা হবে না। এজন্য ওই ইউনিয়নের ভুক্তভোগী শতশত কার্ড ধারী ইউএনও এর কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দায়ের করে বিচার দাবি করেন। ভুক্তভোগী ৯ নং ওয়ার্ডের জাহিদা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান আমাদের ওয়ার্ডের মেম্বার, চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের নির্দেশে কার্ড নবায়ন করার জন্য পাঁচশত টাকা করে চেয়েছেন।৪৯৯ টাকা দিলেও কাজ হবে না বলে আমাদের ওয়ার্ডের কাল্টু মেম্বার জানান।একই অভিযোগ করে ৮ নং ওয়ার্ডের মনোয়ারা বেগম বলেন পরিষদের অনলাইন কারি মৃনালের কাছে গিয়েছিলাম।তিনি বলেছেন মেম্বার এর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আসেন না হলে কাজ হবে না। আমাকে লাখ টাকা দিলেও মেম্বারের পারমিশন ছাড়া কোন কাজ করতে পারবো না।একই ওয়ার্ডের বৃদ্ধ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান আগের খোকন চেয়ারম্যান আমাদের কাছ থেকে কোন টাকা না নিয়েও কাজ করে দিয়েছেন এখন মুকুল চেয়ারম্যান মেম্বারের মাধ্যমে পাঁচশত টাকা করে চেয়ছেন । এব্যাপারে চেয়ারম্যান সাইফুল মুকুলের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমি মানুষকে টাকা দেই। আমি মানুষের টাকা নেব কেন এই বলে ফোনের লাইন কেটে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান বলেন বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি।টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। ডাটাবেজ তৈরী হবে বিনামুল্যে, সরকারি খরচে।লিখিত অভিযোগ ও প্রমাণ পেলে আইন গত ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।