মোঃ আশরাফুল ইসলাম,মানিকগঞ্জ.
মানিকগঞ্জে কবরস্থান থেকে আবারও মানবকঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার দুটি কবরস্থান থেকে সাতটি কঙ্কাল চুরি হয়। এর আগে ৩০ মার্চ রাতে ঘিওর উপজেলার একটি কবরস্থান থেকে ৯টি মানবকঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। এসব কঙ্কাল চুরি ঘটনায় থানায় মামলা হলেও এখনো পুলিশ চোর চক্রের কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে শিবালয়ের বড় বোয়ালী কবরস্থানে কয়েকটি কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পান এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ছয়টি কবর থেকে কঙ্কাল চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে। এ ছাড়া একই উপজেলার উথুলী ইউনিয়নের কাতরাসিন দক্ষিণপাড়া কবরস্থানে একটি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, দুটি কবরস্থান থেকে সাতটি কঙ্কাল চুরি ঘটনায় কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে।
এর আগে ৩১ মার্চ ভোরে ঘিওর উপজেলার বড় ধুলণ্ডি গ্রামের বাসিন্দা ও কবরস্থান ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ মো. আবুল হোসেন কবরস্থান পরিষ্কার করতে যান। এ সময় তিনি কয়েকটি কবর খোঁড়া দেখতে পান। পরে আবুল হোসেন কাছে গিয়ে দেখেন, এসব কবর থেকে কঙ্কাল তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি কবরস্থান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আকতার হোসেনকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ওই দিন সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) নূরজাহান লাবনী ও ঘিওর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯টি কবরের কঙ্কাল চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) নূরজাহান লাবনী বলেন, ঘিওরে কঙ্কাল চুরির ঘটনায় সে সময় থানায় মামলা হয়। ইতিমধ্যে ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
বোয়ালী কবরস্থান পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বলেন, কবর থেকে কঙ্কাল চুরি অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
কঙ্কাল চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কবরগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও স্বজনেরা শঙ্কায় আছেন। চার মাসের ব্যবধানে তিনটি কবরস্থান থেকে ১৬টি মানবকঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটল।