ভোলায় মেঘনার ভাঙনে আতঙ্কিত রাজাপুরবাসী

মোঃ সবুজ,ভোলা প্রতিনিধি:

ভোলার মেঘনা নদীতে স্রোতের তোড়ে ভেঙে পড়ছে পাড়, বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ।

বর্তমানে ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের জোড়খাল পয়েন্ট থেকে চর মোহাম্মদ আলী পয়েন্ট পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে ভাঙন।রাজাপুরে একদিকে নদীভাঙ্গন অন্যদিকে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত।
রাস্তাঘাট সব পানির স্রোতে শেষ দুর্ভোগের শেষ নাই।

ইতোমধ্যে সেখানে সাড়ে ৭’শ মিটার এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকির মুখে রয়েছে দু’টি মসজিদ, দু’টি স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে- নদীর গতিপথ পরিবর্তন, তীব্র স্রোত, উজানের পানি বেড়ে যাওয়া ও ডুবোচরের কারণে ভাঙন বেড়েছে। তবে ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে ৪৮০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ (বালুভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ও টিউব ফেলার চেষ্টা করছেন তারা।

সরেজমিনে জোড়খাল পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, নদীর পাড়ে কয়েকটি শুন্য ভিটা। কয়েকদিন আগেও এসব ভিটায় ঘর ছিল। পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছিলেন নদী পাড়ের মানুষ। কিন্তু সর্বনাশা মেঘনা যেন সব কেড়ে নিয়েছে তাদের। আশ্রয় হারিয়েছেন তারা। এখন কোথায় আশ্রয় নেবেন- তাও জানা নেই।

ক্ষতিগ্রস্ত রাজাপুর বাসী বলেন, আমরা গরীব মানুষ, নতুন ঘর তোলার সামর্থ্য নেই। নদী বসত-ভিটা কেড়ে নিছে, আমরা এখন কোথায় যাবো? আমাদের ঠিকানা নেই।
স্থানীয়রা বলেন, গত কয়েক দিনের ভাঙনে নদী পাড়ের অনেক ঘর বিলীন হয়ে গেছে। এখন খোলা আকাশের নিচে আছি। আমরা নতুন ঠিকানা চাই। সরকারের কাছে সহায়তার দাবি জানিয়েছেন তারা।

অন্যদিকে, চর মোহাম্মদ আলী পয়েন্টে ভাঙনের মুখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ভাঙনে অন্তত অর্ধশতাধিক ঘর বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া বসত-ভিটা, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে মেঘনা।

ওই স্থানীয়রা জানান, জোয়ারের সময় কম হলেও ভাটার সময় ভাঙন বেড়ে যায়। এক রাতেই ৪০/৫০ হাত জায়গা নদীতে চলে গেছে। অনেক মানুষ অন্যত্র ঘর সরিয়ে নিয়েছেন। আমরাও ভাঙনের মুখে। নদী আমাদের জমি-বসতঘর কেড়ে নিচ্ছে।
যেভাবে ভাঙন চলছে, তাতে পুরো ইউনিয়ন বিলীন হয়ে যেতে পারে। এমনকি শহর রক্ষা বাঁধও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে শতাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *