খায়রুল বাশার, ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহ ধোবাউড়া উপজেলাধীন পোড়া কান্দুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক শান্ত কুমার সাহা’র উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে অভিযুক্ত উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বকুল,মনোয়ার হোসেন রিপন, এনামুল হক সুজন, আব্দুল খালেক খান, জহিরুল ইসলাম সরকার ও আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্হা গ্রহনের দাবীতে আজ দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মানববন্ধন পালন করা হয়েছে।
বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পোড়া কান্দুলিয়া সর্বস্তরের জনগন কতৃর্ক আয়োজিত এ মানববন্ধনে এলাকার গর্নমান্য ব্যাক্তিগনসহ বিভিন্ন বয়সের শত শত লোক অংশ গ্রহন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কৃষি সীমা রানী,ধোবাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রিয়তোষ বিশ্বাস বাবুল মাষ্টার, পোড়া কান্দুলিয়া কলেজের প্রভাষক ফরিদ হোসেন বাবলু, ধোবাউড়া মহিলা কলেজের প্রভাষক আব্দুল হান্নান, রফিকুল ইসলাম রফিক, দেলোয়ার হোসেন খান, কালিদাস সাহা, প্রভাষ সাহা, শংকর সাহা, শেখ হাবেছউল্লাহ, মেম্বার আব্দুল জলিল, নুরুজ্জামান, শেখ শহীদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্য তারা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অভিযুক্ত সকলকে গ্রেফতার করে শাস্তিমূলক ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
জানাযায় প্রধান শিক্ষক ও তার সহযোগীদের নানান অপকর্ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের নির্দেশে কম্পিউটার শিক্ষক শান্ত সাহাকে গত ১৬ ই আগষ্ট দুপুরে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে তাকে আটক করে হত্যার উদ্দ্যেশে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে।
ডাক চিৎকারে বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বাড়ীর লোকজন ঘটনাস্হলে এসে শান্ত কুমার সাহাকে উদ্ধার করে। গুরুতর আহত অবস্হায় তাকে ধোবাউড়া স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই রকম ন্যাক্কার জনক ঘটনায় প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বকুলসহ জড়িতদের আসামী করে ভিকটিমের স্ত্রী সীমা রানী বাদী হয়ে ধোবাউড়া থানায় মামলা দায়ের করা করেছেন। এখনো মামলাটি রহস্য জনক কারণে নথিভুক্ত করা হয়নি ।
এ ব্যাপারে ধোবাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ টিপু সুলতানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ঘটনা অবহিত আছি, অভিযোগ পেয়েছি, ইউএনও বিদ্যালয়ের সভাপতি তিনি বিষয়টি দেখছেন।