‘গ্রামীণ শক্তি’র মালিক ইন্তা সস্ত্রীক গ্রেফতার

মোঃ আশরাফুল ইসলাম,মানিকগঞ্জ.

মানিকগঞ্জে“ গ্রামীণ শক্তি ”ও “গ্রামীণ সংস্থা সমবায় সমিতির” মাধ্যমে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত ও গ্রেফতারি পরোয়ানাভূক্ত পলাতক দুই আসামী সদর উপজেলার পশ্চিম শানবান্ধা গ্রামের ‘মাসুদ রানা (ইন্তা) ও তার স্ত্রী লিলি বেগম’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মাসুদ রানার বিরুদ্ধে ৭টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। আছে ২১ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা।
১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী।
তিনি জানান, ২০০৯ সালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বালিরটেক বাজারে গ্রামীণ শক্তি ও গ্রামীণ সংস্থা নামে দুটি সমবায় সমিতির নামে ঋণদান অফিস খোলেন মাসুদ রানা। প্রতি মাসে অধিক মুনাফা দেওয়ার নামে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করে সে। একপর্যায়ে মানুষের টাকা পরিশোধ না করে পালিয়ে যায় সে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়।
সিআইডির সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, “ ২০০১ সালে বিদেশ থেকে দেশে আসেন মাসুদ। এরপর ২০১১ সালে স্ত্রীর সাথে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বালিরটেক বাজারে ‘গ্রামীণ শক্তি’ নামের ঋণদান সমবায় সমিতির কার্যালয় খোলেন। অধিক মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তারা জেলার বিভিন্ন স্থানে শাখা খুলে লোকজনের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেন। সময়মত সে টাকা ফেরত না দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। ২০১৪ সালে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ওই দম্পতি বালিরটেক থেকে পালিয়ে যান। ”
মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী বলেন, “ পালিয়ে গিয়ে নতুন আইডি কার্ড বানিয়ে ময়মনসিংহ জেলায় বসবাস শুরু করেন মাসুদ রানা। সেখানে আবার জনশক্তি নামে আরেকটি সমবায় সমিতির ব্যবসা শুরু করেন ।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সিআইডির পরিদর্শক মো. আনারুল ইসলাম বলেন, “ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ময়মনসিংহের একটি বাসা থেকে মাসুদ ও তাঁর স্ত্রী লিলি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামিদের আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাঁদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *