হাফিজ সেলিম আহমদ:
সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আজমপুর এলাকায় সুরমা নদীতে বাল্কহেড’র ধাক্কায় নৌকায় থাকা অর্ধশতাধিক যাত্রী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন দুইজন। নিখোঁজ একজনের নাম সামছুল ইসলাম (৩৫)। তিনি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের রইছ আলীর ছেলে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৭ টায় দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের ঘাট থেকে খেওয়া নৌকাটি আজমপুর ঘাটে যাচ্ছিল। এ সময় বাল্কহেড’র ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নৌকায় থাকা যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের ঘাট থেকে খেওয়া নৌকাটি আজমপুর ঘাটে যাচ্ছিল। এসময় বিপরীত দিকে আসা একটি বালুভর্তি বাল্কহেড ফেরি নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরি নৌকায় থাকা অন্তত শতাধিক যাত্রীর মধ্যে অর্ধশতাধিক যাত্রী পানিতে পড়ে যায় সবাই সাঁতরে উঠলেও এখনো দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। খবর পেয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ চালান। নৌকায় থাকা যাত্রী আতিকুর রহমান বলেন, তারা সামাজিক সংগঠনের ৩৪ জন একটি পিকনিকে বাশতলা যাচ্ছিলেন। ফেরার সময় দোয়ারাবাজার খেওয়া ঘাট থেকে মোটরসাইকেলসহ ওঠেন তারা। আজমপুর ঘাটের কাছাকাছি এসে খেওয়া নৌকায় বাল্কহেড’র ধাক্কা লাগে। এসময় তার সঙ্গে থাকা গোবিন্দপুরের শামছুল ইসলাম (৩৫) নামের একজন পানিতে পড়লে আর পাওয়া যায়নি।
দোয়ারাবাজার উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের লিডার নুরুল ইসলাম জানান, ৮টার দিকে ইঞ্জিন চালিত খেওয়া নৌকাটিতে বাল্কহেড’র ধাক্কা লাগে। ওই সময় যাত্রীরা নদীতে পড়ে যান। এ খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে উদ্ধার কাজ চালায়। নদীতে পড়ে ও নৌকা ডুবে এখন পর্যন্ত (রাত ১১টা) দুইজন নিখোঁজের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলের আশপাশে খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে। শনিবার সকালে আবারো উদ্ধার কাজ করা হবে।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন নিখোঁজদের উদ্বারে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস কাজ করছে। খেয়া নৌকাকে ধাক্কা দেয়া ভাল্কহেড পুলিশের হেফাযতে রয়েছে।