কোটচাঁদপুরে চাল,ডাল,তেল,মাছ কিনতে নাকাল ক্রেতারা

মোঃ রমজান আলীঃ কোটচাঁদপুর

বাজারে সবজির দাম কিছুটা নিম্নমুখি। এরমধ্যে কাঁচা মরিচের দামে স্বস্তি ফিরেছে । তবে মাছের দামে নাকাল ক্রেতারা। এছাড়া উর্ধ্বদামে অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ-রসুন, আলুসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য,গত রবিবার পৌর শহরের বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

একদিকে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, অন্যদিকে মাছের সরবরাহ এবার অনেক কম। ইলিশ মাছের সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও দাম অনেক বেশি। ফলে রুই, মৃগেল, কাতলাসহ অন্যান্য মাছের দামও অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কেজি সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হয় ১২শ’ টাকা থেকে ১৩ শ’ টাকা। সাড়ে ৮শ’ টাকা থেকে ৯শ’ টাকা কেজি বিক্রি হয় মাঝারি সাইজের ইলিশ। প্রতি কেজি জাটকা ইলিশ বিক্রি হয় ৩শ’ ৮০ টাকা থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা। ২শ’৫০ টাকা থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা কেজি বিক্রি হয় রুই মাছ। প্রতি কেজি মৃগেল মাছ বিক্রি হয় ১শ’৮০ টাকা থেকে ২শ’৫০ টাকা কেজি। ১শ’৫০ টাকা থেকে ১শ’৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় তেলাপিয়া মাছ। প্রতি কেজি পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১শ’৬০ টাকা থেকে ১শ’’৮০ টাকা। ৩শ’ টাকা থেকে ৪শ’ টাকা কেজি বিক্রি হয় কাতলা মাছ। প্রতি কেজি ছিলবারকার্প মাছ বিক্রি হয় ১শ’৪০ টাকা থেকে ১শ’৮০ টাকা কেজি।

বাজারে সবজির দাম কিছুটা নিন্মমুখি। সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দামও কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা ও ক্রেতা। প্রতি কেজি পটল বিক্রি হয় ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কাঁকরোল। প্রতি কেজি ঢেড়স বিক্রিয় হয় ৩০ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় উচ্ছে। প্রতি কেজি কচুরলতি বিক্রি হয় ৬০ টাকা। ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় মিষ্টি কুমড়া। ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বরবটি। প্রতি কেজি ডাটা বিক্রি হয় ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কুশি। প্রতি পিচ লাউ বিক্রি হয় ৩৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কচুরমুখি। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয় ৫০ টাকা। ২০ টাকা কেজি বিক্রি হয় পেঁপে। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ঝিঙে। প্রতি কেজি ধুন্দল বিক্রি ২০ টাকা। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় সবুজ শাক। প্রতি কেজি কলা বিক্রি হয় ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা। ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ওল।

কাচা মরিচের দামে সস্তি ফিরে পেয়েছে ক্রেতার। পেঁয়াজ-রসুন ও আলুর দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় রসুন। আমদানিকৃত রসুন বিক্রি হয় ১শ’৪০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ২৫ টাকা। ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় মরিচ।

বাজারে সয়াবিন তেলের দাম আগের মত আছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয় ১শ’৮৫ টাকা। ১শ’৮০ টাকা থেকে ১শ’ ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হয় খোলা সয়াবিন তেল।

ঊর্ধ্বদামে অপরিবর্তিত আছে চালের দাম। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হয় ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা। ৫৬ টাকা থেকে ৫৮ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-২৮ চাল। প্রতি কেজি কাজল লতা চাল বিক্রি হয় ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা। ৭২ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বাঁশমতি চাল। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা।

বাজারে ডালের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয় ১শ’২৫ টাকা। ১শ’ টাকা কেজি বিক্রি হয় আমদানিকৃত মুসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোলার ডাল বিক্রি হয় ৭৫ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের ডাল। প্রতি কেজি মুগের ডাল বিক্রি হয় ১শ’ টাকা থেকে ১শ’৪০ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *