তপন দাস
নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ নেয়া ১০০জনের মধ্য থেকে নির্বাচিত ১৮জনকে নিয়ে জেলা পর্যায়ে কারাতে প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে(২৯আগষ্ট) নীলফামারী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের মনির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে এই প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগীতায় তিনজনকে বিজয়ী করে ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
অন্যান্যের মধ্যে খোকশাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত রায়, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক কার্তিক চন্দ্র রায়, কেয়ার বাংলাদেশ জানো প্রকল্পের সিনিয়র টিম লিডার নাজনীন রহমান, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ জানো প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফয়েজ কাউসার উপস্থিত ছিলেন।
জানো প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক পোরসিয়া রহমান জানান, নীলফামারী জেলার সদর, ডোমার, জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার ২৫জন করে ১০০জন কিশোরীকে মাসব্যাপী দেয়া হয়। এদের মধ্য থেকে ১৮জনকে নির্বাচিত করে জেলা পর্যায়ে কারাতে প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয় সোমবার।
তিনি জানান, প্রশিক্ষণ নেয়া এক’শ জনকে ইতোমধ্যে বেল্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ও অষ্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সহযোগীতায় কেয়ার বাংলাদেশ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় এবং ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) মাঠ পর্যায়ে এ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম(জানো) প্রকল্পের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, আত্মরক্ষার কৌশল জানার পাশাপাশি দৃঢ় মনোবল ধরে রাখতে কারাতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।
নীলফামারী জেলার শুধু এক’শ জন নয় সকল বিদ্যালয়ের কিশোরীদের এই প্রশিক্ষণ নেয়া প্রয়োজন। এরফলে পড়াশোনার পাশাপাশি তারা সাহসীও হয়ে উঠবে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ জানো প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফয়েজ কাউসার জানান, শুধু নীলফামারী নয় রংপুর জেলার তিনটি উপজেলারও ৭৫জন কিশোরীকে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
নীলফামারী ও রংপুর জেলার ১৬৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৮টি মাদরাসায় পুষ্টি নিয়ে কাজ করে জানো প্রকল্প যারই একটি অঙ্গ ছিলো কিশোরীদের আত্মরক্ষার্থে কারাতে প্রশিক্ষণ।