ইউনিক আইডি তৈরীতে প্রধান শিক্ষকের অর্থ আদায়ের অভিযোগ।

জেলা প্রতিনিধি- জামালপুর।

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ে ইউনিক আইডি তৈরিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগন জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ।

এছাড়া অষ্টম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়ার সময়ে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে সাড়ে ৪ শ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করেন প্রধান শিক্ষক। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে তিনি অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছেন। টাকা ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী ইউনিক আইডি ফরমের ফটোকপিও দেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, স্ট্যাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইইআইএমএস) প্রকল্পের আওতায় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষা সংক্রান্ত সব তথ্য থাকবে। শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে এই আইডি জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) রূপান্তরিত হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কোনো নিয়ম নেই।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ইউনিক আইডির জন্য উপজেলার আদ্রা আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের হাতে ইউনিক আইডির ফরম ধরিয়ে ১০০ টাকা করে আদায় করছে। যদিও এক্ষেত্রে টাকা আদায়ের নিয়ম নেই।

বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, অন্য বিদ্যালয়ে টাকা ছাড়া শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি করে দেওয়া হয়েছে । শুধু আমাদের স্কুল ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে আদ্রা আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফা তোতা বলেন, আমি এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারবো না। এই বলে তিনি অফিসে থেকে বের হয়ে চলে যান।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম এলাহি আকন্দ জানান, আমি উপর মহলের নির্দেশক্রমে গিয়েছিলাম তদন্ত করতে। তদন্ত চলমান কয়েকদিনের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিবো।

মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ সেলিম মিঞা বলেন, যেহেতু লিখিত অভিযোগটা জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে করেছে সেহেতু এখন আমি কিছু বলতে পারছি না। অভিযোগের কাগজ আমার কাছে আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *