তৈয়ব উল্লাহ সিকদার বাবু
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি::
সীমান্ত দিয়ে নির্বিঘ্নে আসছে ভয়ঙ্কর মাদক আইস ও ইয়াবা। কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রায় সময় আইস-ইয়াবার বড় চালান জব্দ করছেন। অভিযানে তালিকাভুক্ত ও তালিকার বাইরে থাকা মাদক কারবারিরা আটকও হয়েছে। কিন্তু অধরা থেকে যাচ্ছে জব্দকৃত মাদকের মূল মালিকরা। নানা কৌশলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ৮ মে চট্টগ্রাম কর্ণফুলী শিকলবাহা এলাকায় একটি বাসে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ বাসের চালক ও হেলপার কে আটক করে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম। এই সময় বাস তল্লাশি করে বাসের পিছনের টেইল লাইটের ভিতর অভিনব কৌশলে লুকানো ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। মাদক পাচারে ব্যবহৃত বাসটিও জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলো কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ আলম প্রকাশ মাতালম ও একই এলাকার মৃত রফিক এর ছেলে আলী আহমদ।আটক দুজনে বাসের মালিক দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার সালেহ আহমদ প্রকাশ ছাতি বুরার জামাই।তারা দুজন সালেহ আহমদ এর মেয়ে বিয়ে করে ঘর জামাই হয়ে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আটক বাসের চালক ও হেলপার তাদের শশুর সালেহ আহমদ এর হয়ে নির্দৃষ্ট স্হানে ইয়াবা পৌঁছে দেয়।দুই জামাই মিলে কৌশলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চালান বহন করে নিয়ে যায়।সালেহ আহমদ প্রকাশ ছাতি বুরার মাদক সিন্ডিকেটে শুধু সালেহ আহমদ একা নই,তার তিন ছেলেও রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের নাম ছাবের ও আরেকজনের নাম রফিক।দুই জামাই আটকের পর নিজ এলাকা জুড়ে চলে আলোচনা-সমালোচনা।ইয়াবাসহ জব্দকৃত বাসটি টেকনাফ কক্সবাজার সড়কে ভাড়ায় যাতায়াত করে,এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সালেহ আহমদ হ্নীলা ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা এনে অভিনব কৌশলে বাসে লুকিয়ে নির্বিঘ্নে ইয়াবা পাচার করে আসছে।সে আজ ইয়াবার বদৌলতে কোটিপতি।
আরও জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সালেহ আহমদ এর মাদক পাচারে দুই জামাই ব্যবহার হয়ে আসলেও মূল সিন্ডিকেট পরিচালনা করে সালেহ আহমদ ও তার ছেলেরা। তারা সবাই মিলে মাদকের একটি বিশাল সিন্ডিকেট তৈরী করেছে। ফলে পাচারকারী দুই জামাই আটক হলেও উক্ত ইয়াবার মূল গডফাদাররা রয়ে গেছে ধরাছোয়ার বাইরে। এভাবে মাদকের বিশাল বিস্তৃর্ণ জাল পেতে রেখেছে এই সিন্ডিকেট।
এলাকার লোকজন জানান,তারা দীর্ঘদিন ছদ্মবেশে নানান কৌশলে ইয়াবা পাচার করলেও প্রশাসন আটক করতে পারেনি। এবার যখন প্রশাসনের হাতে তাদের সিন্ডিকেটের দুজনকে আটক হয়েছে এই সিন্ডিকেটের বাকী সদস্যাদেরও আটক করলে এলাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসা অনেকটা বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
এলাকার সচেতন মহল বলেন,সালেহ আহমদ ও তার ছেলেদের আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসা করা হলে বেরিয়ে আসবে মাদক পাচারের আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাই তাদের গ্রেপ্তার করে এলাকা থেকে মাদক মুক্ত করতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করেছেন।