তৈয়ব উল্লাহ সিকদার বাবু
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ছনখোলা ঘোনারপাড়ায় স্বামীর নির্যাতনে সুমি আক্তার নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নিহত সুমি আক্তারের মা সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে একটি এজাহার দায়ের করেন।জানা গেছে গত বুধবার ৩১ আগস্ট সকাল
আনুমানিক ৯টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা ঘোনার পাড়ার এখলাছ মিয়া প্রকাশ বুধাইয়ার পুত্র বোরহান উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে গৃহবধূ সুমি আক্তার কে মারধর করেন।
পরে সুমি আক্তার কে মুমূর্ষ অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমি আক্তার মারা যান।এদিকে মৃত্যুনিশ্চিত জেনে স্বামী বোরহান উদ্দিন পালিয়ে গেলেও শাশুড়ি নুর নাহার বেগম কে আটক করে পুলিশ।
১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের সুমি আক্তারের নামাজে জানাজা ছনখোলা ঘোনার পাড়া সাইক্লোন সেন্টার এর মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
সুমি আক্তারের মা সেলিনা আক্তার জানান তার বাড়ি ও তার মেয়ে সুমি আকতারের শ্বশুরবাড়ি একই এলাকায়।গত ৫ জুন 2022 নিজ বাড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে তার মেয়ে সুমি আক্তার এর সাথে স্থানীয় এখলাছ মিয়ার পুত্র বোরহান উদ্দিনের সাথে বিয়ে হয়।বিয়ের কিছু দিন না যেতেই পাষণ্ড স্বামী বোরহানউদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য সুমিকে মারধর করে ।
তিনি আরো জানান মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে জামাইকে উপহার হিসেবে একটি মোটরসাইকেল ও দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণ প্রদান করেন।কিন্তু এতেও ক্ষান্ত হয়নি লোভী স্বামী বোরহানউদ্দিন।কিছু দিন না যেতেই যৌতুকের দাবিতে মারধর শুরু করে সুমি আকতার কে।
এক পর্যায়ে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন স্বামী বোরহান।এক পর্যায়ে যৌতুকের দাবি নিয়ে পরিকল্পিতভাবে সুমির স্বামী এবং স্বামীর পরিবারের লোকজন আমার মেয়ে সুমি আকতার কে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন।আমি আমার মেয়ের হত্যাকাণ্ডের এর সুষ্ঠু বিচার চাই ।
সুমি আক্তারের পিতা শফি উল্লাহ জানান
আমার মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
কক্সবাজার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো: সেলিম উদ্দিন ঘাতক বোরহানউদ্দিনের মা নুর নাহার বেগমকে আটকের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।