মোঃ রমজান আলীঃ জেলা প্রতিনিধি
মাদকের রাজধানী হিসাবে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর রাজাপুর গ্রামের মাদক ব্যাবসায়ী আকাশ একাই নিয়ন্ত্রণ করছে মাদকের বিশাল সিন্ডিকেট।
বিভিন্ন মাদকের মামলা থাকা শর্তেও প্রকাশ্যে কেনাবেচা করছে ফেন্সিডিল। চৌগাছা এবং মহেশপুর থানার শেষ প্রান্তে হওয়াই গড়ে তুলেছে মাদকে বিশাল সিন্ডিকেট।
আকাশের বাড়ি মহেশপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে মোল্লাপাড়া গোরস্থানের ঠিক পাশেই। আকাশের বাড়ির আসেপাশে ঝোপ ঝাড়ের মধ্যে সব সময়ই ফেন্সিডিল মজুত করা থাকে। স্থানীয়দের কাছে আকাশ নিজেকে মুদি দোকানদার হিসাবে পরিচয় দিলেও মুলত সে এক জন ভয়ংকর মাদক ব্যাবসায়ী।
আকাশ তার নিজস্ব লোকজন দিয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রয় করছে।
রাজপুর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলায় মাদকের বড়ো চালানো পাঠাই এই আকাশ।
আকাশের সিন্ডিকেট মেম্বার হিসাবে কাজ করে বেস কয়-একজন।
একজন সহযোগী থাকে,যার কাজ বিভিন্ন ক্রেতার কাছে ফেন্সিডিল পৌছে দেবার।
01795-295646 এই ফোন নাম্বারটির মাধ্যমে বিভিন্ন মাদকসেবিদের কাছ থেকে অর্ডার নেই আকাশ, অধিকাংশ সময়ই আকাশ বিকাশে টাকা গ্রহন করে এবং সহযোগী দিয়ে মাদক ডেলিভারি করে,।
প্রকাশ্যে দাপটের সাথে মাদক কেনা বেচা করছে আকাশ তার ভয়ে কেউই মুখ খুলতে বা প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। অনুসন্ধানিতে সাংবাদিকগন ক্রেতা সেছে মাদক কেনার জন্য উপরোক্ত নাম্বারে অর্ডার করলে ! টাকা নিয়ে পরে মাল এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। রাজপুর গ্রামের মুখে ইট ভাটার বসিয়ে রেখে। পালিয়ে যাওয়ার সময় আকাশের সহকর্মীর হাতে থাকা সিমফনি একটা স্মার্ট মোবাইল ফেলে রেখে পালিয়ে যাই।
আকাশের মাদক সিন্ডিকেট এর বিষয়ে মহেশপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ সেলিম মিয়ার সাথে কথা হয় এবং উদ্ধারকৃত মোবাইল টা জমা দেওয়া হয়।
তিনি সঙ্গে সঙ্গে ডিউটি অফিসার কে ডেকে তদ্ন্তপূর্বক ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
মহেশপুর উপজেলার সুশীল সমাজের জনগণের একটাই দাবি, মহেশপুর হোক মাদক মুক্ত। ঝিনাইদহ জেলায় নবাগত পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভুক্তভোগী জনগণ বলেন,
আকাশের মতো মাদক ব্যাবসায়ীদের জন্যো আমাদের সন্তানদের নিয়ে সবসময়ই দুশচিন্তাই থাকি, না জানি কবে আমাদের সন্তানেরাও মাদকাসক্ত হয়েপড়ে। অনতিবিলম্বে চিহ্নিত মাদক সম্রাট আকাশের গ্রেফতার করে এলাকা মাদক মুক্ত করা হোক।