হাফ ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থী হয়রানি, প্রতিবাদ করার সাহস নেই কারো।

হাফেজ মুহাঃওমর ফারুক, ভোলা সদর উপজেলা প্রতিনিধি,

বর্তমান সময়ে যতই দিন যাচ্ছে ততই ভোলা বাস মালিক সমিতির ক্ষমতা বাড়ছে এবং বাস স্টাফদের ব্যাবহার খারাপ হচ্ছে। এযেনো প্রতিদিনের ঘটনা। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে প্রতিনিয়ত স্টুডেন্ট ভাড়া না নিয়ে তাদের কাছ থেকে ফুল ভাড়া আদায় করছে। ফুল ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদেরকে হেনস্থা করে বাসের স্টাফ ও হেল্পারা।

গতকাল ৬ই সেপ্টেম্বর, আনুমানিক দুপুর ২:৩০ মিনিটে কলেজ থেকে ফেরার পথে ‘ফারহান আহাম্মেদ বাপ্পি’ নামক এক কলেজ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে স্টুডেন্ট ভাড়া (হাফ ভাড়া) না নিয়ে তার সঙ্গে অসদাচরণ ও হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগ জানায় ওই কলেজ শিক্ষার্থী। প্রতিবাদ করার নেই কেউ , বাস স্টাফদের ক্ষমতার জোরে, জোরপূর্বক মানতে হয় তাদের চাহিদা।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থী জানায়, ভোলা-ব (০৫-০০০১) নাম্বার বাসের স্টাফ তার কাছে ভাড়া চাওয়ায় সে (ভোলা-বোরহানগঞ্জ) -এর স্টুডেন্ট ভাড়া দেয় ৩০ টাকা। এতে বাসস্টাফ জিজ্ঞাসা করে, কোথায় যাবেন? তখন শিক্ষার্থী বলেন, বোরহানগঞ্জ বাজার। তখন বাসস্টাফ আরো ২০টাকা (ফুল ভাড়া) দাবী করে। তখন শিক্ষার্থী বলে ‘আমি স্টুডেন্ট হাফ ভাড়া রাখেন’, তখন ওই স্টাফ বলে, “বাস কি আপনার বাপের নাকি? কেনো হাফ ভাড়া দিবেন? নাকি বাস আপনার বাবা বানিয়ে দিছে? তখন ওই শিক্ষার্থী জবাব দেন, “আমি প্রতিদিন আসা যাওয়া করি, এমনকি সকালেও ৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে এসেছি, এই দেখেন টিকেট। টিকেট না দেখেই বাসস্টাফ বলে, হাফ ভাড়া (স্টুডেন্ট ভাড়া) তাকে ৪০ টাকা দেওয়া লাগবে। হাফ ভাড়া নাকি ৩০ টাকা না। ৫০ টাকার হাফ ভাড়া নাকি ৪০ টাকা। ৪০ৎটাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে আমাকে চলতি বাস থেকে নেমে যেতে বলে। সেই সময় আমার হাতে ফাইল, সাদা শার্ট ও কলেজ কার্ড পরিধান করা ছিলাম।

সেই শিক্ষার্থী আরো বলেন, এই গরমের মধ্যে পুরো বাস লোড হওয়ার পরেও আরো যাত্রী নেয়। প্রায় ৩৫ জন যাত্রী নেয় এমনকি পায়ের ওপর পা রেখে যাত্রী নেয়া হয়, তারপরও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। কারন, আমরা তাদের কাছে জিম্মি। দক্ষিণ থেকে আসা কোনো অটো ভোলাতে ঢুকতে পারে না। এতে করে ওদের বাসেই আমাদের উঠতে হয়। ভোলা বাস মালিক সমিতি প্রতিনিয়ত দক্ষিণ থেকে আসা রোগী বহনকারী ও অন্যান্য অটোরিক্সা আটকে রেখে ড্রাইভারদের নির্যাতন করে যাচ্ছে। অনেক অসহায় মানুষের অটোরিক্সা আটকে রাখে তারা। অনেক ড্রাইভারের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে ছেড়ে দেয়ার অনেক অভিযোগ আছে।

শান্ত নামে এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা যেনো সঠিক ভাবে যাতায়াত করতে পারি। আর আমাদের স্টুডেন্ট ভাড়া সারা বাংলাদেশে হাফ ভাড়া, কিন্তু এখানে (ভোলায়) কেনো আমাদের বন্ধুদেরকে হয়রানি ও খারাপ আচরণ করা হলো ?এর সঠিক বিচার চাই। যদি বিচার না করা হয় তাহলে আমরা “স্টুডেন্ট” পরবর্তীতে আন্দোলন এবং মানববন্ধন করবো,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *