বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :
অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দীর্ঘ সাত বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে খুলনা মেডিকেল পাড়ায় ১৫
সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখা নির্বাচন ।
এতে সরকার দলীয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা দুই প্যানেলে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে যাচ্ছে।
এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে সরকার দলীয় আওয়ামলীগের খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ের প্রথম সারির নামধারী ৪ ৯ জন প্রার্থীর নাম তালিকায় উঠে এসেছে গণমাধ্যমে।
এদের মধ্যো প্রধান ৪ খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিশেষ তালিকায় রয়েছে বলে মেডিকেল সূত্র থেকে জানা যায়।
তবে খুলনা বিএমএ নির্বাচন দীর্ঘ
৭ বছর পরে অনুষ্ঠিত হলেও এতে অংশগ্রহণ নিচ্ছে না বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ( ড্যাব) ফলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা দুটি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছে ২ হাজার ১৭৮জন। ২৪ টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে মোট ৪৯জন প্রার্থী। ১৫ সেপ্টেম্বর (বিএমএ) মিলনায়তনে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বিএমএ সূত্রে জানা গেছে ২০১৫ সালে বিএমএ সর্বশেষ দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন হয়েছিল।
কিন্তু কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও দীর্ঘদিন নির্বাচন হয়নি।
অবশেষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা দেয়। এতে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তায় তৈরি হয়। গতকাল ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে তারা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন।
এতে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যায়।
এদিকে আবার আওয়ামী লীগ দলের প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থী বিএমএ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিচ্ছে না। ফলে নির্বাচন একতরফা পানসে সাধের হতে যাচ্ছে বলে মেডিকেল পড়ার নানান গুঞ্জন ছড়িয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
এদিকে বিএমএ নির্বাচনের বিভিন্ন পদের ৪৯ জন বিভিন্ন পদের প্রার্থী নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে মেডিকেল পাড়ায় প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ভোটারদের মাঝে গিয়ে আন্তরিকতা গড়ে তুলছে।
পাশাপাশি ৪৯ জন প্রার্থীর নির্বাচনী ইশতেহারে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেছেন এই সরকারদলীয় ৪৯ প্রার্থী।
এখন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন খুলনা শাখা বিএমএ নির্বাচনের কারণে মেডিকেল পাড়ায় উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বরের ভোট গ্রহণের জন্য আলাদা আলাদা প্রার্থীদের জন্য যে সকল কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে তাদের বিরামহীন ক্লান্তি যেন ফুরাচ্ছে না।
তবে নির্বাচনের এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভোটারদের নানান জল্পনা কল্পনা ও আলোচনার মাধ্যমে কিছুটা হলেও আঁচ পাওয়া যাচ্ছে যে ডাক্তার নিয়াজ মোরশেদ এর পক্ষে অনেকটা আশানুরূপ পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সে ক্ষেত্রে অন্য সকল প্রার্থীরা ও তাদের কর্মকান্ডের একেবারে ঝিমিয়ে নাই।
তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ভোট আদায়ের লক্ষ্যে। কিভাবে সকল ভোটারদের মন জয় করে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে পারে। সে লক্ষ্যে এখন প্রার্থীরা তাদের আনাগোনা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
দীর্ঘ সাত বছর প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন এর খুলনা শাখার বিএমএ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা ভোটাররা একটা জিনিসই পরিলক্ষিত করছি সেটা হলো ভোটারদের মাঝে প্রার্থীরা যেভাবে আনাগোনা ও প্রচারণা চালাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে প্রার্থীদের ভোট যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য খাওয়া ঘুম হারাম হয়ে গেছে।