বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :
খুলনা নগরীতে গতকাল রাতে সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে রাত ৮ টার পরে দোকান খুলে রাখার অপরাধে বেশ কিছু দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও জরিমানা করা করেছে খুলনা ভ্রাম্যমান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিক এলাহী।
গোটা চলতি বছর যাবৎ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি বাংলাদেশে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের সংকটের কারণে।
বাংলাদেশ সরকারও পার্লামেন্টারি ভাবে মন্ত্রী পরিষদের সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।
জ্বালানি সাশ্রয় ও বিদ্যুৎ সংকট রোধে দেশব্যাপী রাত ৮ টার পরে দোকান পাট মার্কেট ও শপিং মল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ।
দেশজুড়ে সরকারি বিধি নিষেধ থাকা সত্বেও খুলনা নগরীর অধিকাংশ মার্কেট বন্ধ হয়ে গেল ও।
খুলনার প্রাণকেন্দ্র পিকচার প্যালেস মোড়ের হাজী এ মালেক চেম্বার মার্কেটটি যথারীতি ভাবে খোলা রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
হাজী এ মালেক চেম্বার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোজাফফার মোল্লার তত্ত্বাবধায়নে।
তারই জের ধরে গতকাল রাত ৮ টার পরে দোকান খুলে রাখার অপরাধে নগরীর উল্লেখিত হাজী এ মালেক চেম্বারে ভ্রাম্যমাণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে গতকাল শনিবার রাতে দুটি দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও একই মার্কেটের অন্য দুটি দোকানে জরিমানা করেছে খুলনা নির্বাহী ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিক এলাহী।
হাজী এ মালেক চেম্বারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কারি দোকান দুটির মধ্যে রয়েছে মার্কেটে ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং খুলনা জেলা শ্রমো বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মোজাফফর মোল্লার হলিউড টেলার্স এন্ড ক্লথ স্টোর
অপর টি স্টার লেডিস ফ্যাশন মালিক শাহিন মিয়া। এবং জরিমানা কৃত দুটি দোকান হচ্ছে স্টুডেন্টস টেলার্স ও বস টেলার্স।
ঘটনাস্থল থেকে ভ্রাম্যমান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উল্লেখিত এই মালেক চেম্বারে সাধারণ সম্পাদককে দুই দুইবার করে প্রশাসন কর্তৃক রাত ৮ টার পরে দোকান খুলে রাখা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে হুঁশিয়ার করে দিয়ে গেলেও।
সে সরকার ঘোষিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার শক্তি অপব্যবহার করে বরা বরই আইন বিরোধী কাজ করে যাচ্ছে।
মালেক চেম্বার মার্কেট থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দোকান মালিক বলেন তিনি সরকারদলীয় ক্ষমতার মাধ্যমে খুলনা জেলা শ্রমো বিষয়ক সম্পাদক পদ পাওয়ার পর থেকে সে আইন তো দূরের কথা কাউকে তোয়াক্কা না করে ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করে সরকারি আইন অবমাননা করাটা তার চরিত্রের বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আছে গেল দুই বছর মহামারী করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার কঠোর বিধিনিষেধও লকডাউন জারি করলে তার মধ্যে দোকান খুলে রেখে চোর-পুলিশ খেলে ব্যবসা পরিচালনা করেছে।
এবং দোকান খোলা রাখার দায়ে একাধিকবার পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক সেও তার ছেলে সহ লাঞ্চিত হলেও
থেমে থাকেনি তার এই চোর-পুলিশ খেলে ব্যবসা পরিচালনা করা।
তার এই স্বেচ্ছাচারিতার কারণে পার্শ্ববর্তী দোকানদাররা ও না পেরে দোকান খুলতে বাধ্য হয়েছে।
এমনও ঘটনা ঘটেছে মহামারী করোনার কারণে দোকান কর্মচারীরা মালিক কর্তৃক দোকান খুলে রাখার কারণে বাধ্যতামূলকভাবে চাকরি বাঁচানোর লক্ষ্যে ২/১ জন দোকান কর্মচারী মহামারী করণায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ পর্যন্ত করেছে।
গতকাল ভ্রাম্যমান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আইনগতভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও সে পরবর্তীতে বলে আমি আমার ক্ষমতার জোরে ১/২ দিনের মধ্যে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ করে ব্যবসা পরিচালনা করব।
কারণ সে বলে ওজোপাডিকো থেকে শুরু করে উর্দ্ধতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পর্যন্ত আমার হাত প্রসারিত রয়েছে।