মোঃ আশরাফুল ইসলাম,মানিকগঞ্জ.
আজ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতএ র্যা ব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন বেতিলা-মিতরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রায় এক যুগ ধরে পলাতক সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ আতোয়ার রহমান (৬০)’ জেলাঃ মানিকগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আতোয়ার রহমান একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকের পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং বিভিন্ন গ্রাহকদের নিকট থেকে সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উক্ত ব্যাংকের ম্যানেজার বাদী হয়ে ঘিওর থানায় মোঃ আতোয়ার রহমান এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মাসাৎ করার জন্য মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই আসামী গ্রেফতার এড়ানোর জন্য পালিয়ে ঢাকা চলে যায়। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রদান করে। পরবর্তীতে চার্জশিটের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলার বিচারকার্য পরিচালনা করেন এবং পর্যাপ্ত স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে অর্থ আত্মাসাতের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে গত ২৩/০৩/২০১০ তারিখে চার্জশিটে অভিযুক্ত আসামী মোঃ আতোয়ার রহমান’কে ০৭ বছরের সাজা প্রদানসহ ২৫০০০/-টাকা জরিমানা করেন। উক্ত ঘটনার পর হতে আসামী মোঃ আতোয়ার রহমান দীর্ঘ ১২ বছর ধরে পলাতক ছিলো।
আসামীর জীবন বৃত্তান্তঃ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী ১৯৬২ সালে মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন মত্ত এলাকায় জন্মগ্রহণ করে। সে স্থানীয় স্কুলে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত লেখা-পড়া করে। ব্যক্তিগত জীবনে আসামী বিবাহিত এবং বর্তমানে তার পরিবারের দুইটি কন্যা সন্তান ও একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আত্মগোপনে থাকাকালীন সময় আসামীর জীবনযাপনঃ
উক্ত ঘটনার পর থেকেই আসামী গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে লোক চক্ষুর আড়ালে সে নিজেকে আত্মগোপন করে। পরিচিত লোকজন থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখার জন্য ঘটনার পর ঢাকা চলে যায়। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আসামী নিজের পরিচয় গোপন করার জন্য ক্রমাগতভাবে সে পেশা পরিবর্তন করে আসছিলো। প্রথমদিকে সে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রিক্সাচালক, রাজমিস্ত্রী ও পরবর্তীতে চায়ের দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।