বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :
আজ সন্ধ্যায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত দুর্নীতিবাজ ও অনেক অপকর্মের মহানায়ক উপাচার্য (ভিসি) শহিদুর রহমান খান অবশেষে তারই অপকর্ম ও দুর্নীতির প্রাপ্তির কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিয়ে কোন সম্মাননা ছাড়াই মাথা নিচু করে চোরের মতন বিদায় নিয়েছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
এতে করে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুক্তি পেলো কলঙ্কময় দুর্নীতিবাজ কুখ্যাত এক জন অপসংস্কৃতি ব্যক্তির হাত থেকে ।
এই দুর্নীতিবাজ ভিসি শহিদুর রহমান খান খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদান করার পর থেকে দক্ষিণ বাংলার খুলনা জেলার অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি কে নিজের কুক্ষিগত করে নিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থের দুর্নীতির আখড়া তৈরি করে ভর্তি বাণিজ্য ও নিয়োগে স্বজন প্রীতি সহ অনেক অপকর্ম দুর্নীতি করে অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে।
এবং সরকারী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের রীতি অনুযায়ী নিয়োগ প্রকাশ হলেও তার দুর্নীতি অপকর্ম ও স্বজনপ্রীতির কারণে নিয়োগ পায়নি বহিরাগত কোন ব্যক্তি। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ভিসি শহিদুর রহমানের নিজের স্ত্রী ছেলে মেয়ে সহ নিকটতম আত্মীয়দের প্রধান প্রধান পদে নিয়োগ দিয়েছে ।
সে ক্ষেত্রে প্রকৃত নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের রেখেছে বঞ্চিত।
কিন্তু এ সকল অপকর্মের সত্যতা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তা দের কাছে প্রমাণ করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
এবং দুর্নীতিবাজ শহিদুরের নেক্কারজনক অপকর্মের খেসারত হিসেবে একগুচ্ছ কলঙ্কের মালা গলায় নিয়ে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে উপাচার্য শহিদুর রহমান খান।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলেন দুর্নীতিবাজ বিদায় হওয়াতে আমি পরম করুণাময় আল্লাহ পাকের দরবারে নফল নামাজ আদায় করেছি।
এবং দুর্নীতিবাজ শহিদুরের বিদায় লগ্নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষক গণ উপস্থিত থেকে বিদায় সংবর্ধনা জানাতে আসেনি তার প্রতি ক্ষোভ ঘৃণায়।
তবেশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুষ্টিমেয় কিছু শিক্ষার্থী তার বিদায়লগ্নে অনাড়ম্বরভাবে কয়েকটি ফুলের তোড়া নিয়ে এসে তার হাতে দিয়ে করতালির মাধ্যমে তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানায়।
বিদায় লগ্নে শহিদুর রহমান খান বলেন আমি যখন থেকে এই খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে ৪বছর যাবৎ দায়িত্ব গ্রহণ করেছি তখন থেকে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জন্য আমি সর্বমহলের প্রচেষ্টায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শিক্ষা উন্নয়ন ও প্রতিষ্ঠান সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ধরে রেখেছি।
আজ তার ফলস্বরূপ অপবাদের প্রাপ্তি হিসেবে পেলাম প্রতিষ্ঠানের বিরোধী কোনো অপশক্তির নীলনকশার কারণে কলঙ্কের দায় মাথায় নিয়ে বিদায় হতে হচ্ছে।
তবে আমাকে প্রতিষ্ঠান কুচক্রী মহলের লোকেরা প্রশংসা না করলেও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার কর্মক্ষেত্রের যোগ্যতা হিসেবে প্রশংসা করেছেন।
এবং দেশের এমন কোন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নাই যে আমার এই প্রতিষ্ঠান ধারের কাছে এসে দাঁড়াতে পারবে।
তিনি বিদায়লগ্নে আরো বলেন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য পিয়নের কাজ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কাজ ও অন্যান্য সকল কর্ম ক্ষেত্রে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সর্বদা অগ্রসর হয়ে থেকেছি।
তার ফলস্বরূপ পেলাম আজ শুধুমাত্রই কলঙ্ক আর অপবাদ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিরোধী চক্র আমার বিরুদ্ধে যে সকল অপবাদ অপকর্ম দুর্নীতি ও অন্যান্য সকল অভিযোগ তুলেছে তার সবকটিই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভিত্তি হীন বলে দাবি করে আবেগে আপ্লুত হয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে উপস্থিত সকল কর্মকর্তাদের বিদায় জানিয়ে তিনি খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন।