বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :
খবর বিজ্ঞপ্তি।।
স্থানীয় সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ গাইডলাইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে খুলনার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্সিং তামাক বিরোধী সচেতনতা আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট বিজ্ঞাপন অপসারন ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে।
আজ সকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় এ তথ্য গুলো তুলে ধরা হয়। দি ইউনিয়ন এর আর্থিক সহযোগিতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশন এইড ফাউন্ডেশন সিয়াম ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। খুলনা বিভাগের সকল জেলা সদর থেকে আগত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের মেয়র ও পৌর নিবার্হী কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের সক্রিয় সংগঠনের সদস্য গনের উপস্থিতিতে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে এদেশের জনগণকে রক্ষার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ সহ সরকারের সকল মন্ত্রণালয় বিভাগ বেসরকারি সংস্থা মিডিয়া সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সমন্বিত কার্যকর অংশগ্রহণ প্রয়োজন। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধানসমূহ বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে গতিশীল করার স্বার্থে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের একটি সুপরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনা বা নির্দেশিকা থাকা আবশ্যক এ লক্ষ্যেই স্থানীয় সরকার বিভাগ তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা প্রণয়ন করেছে। এবং এর আলোকে সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ নির্দেশিকা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ধূমপানের ক্ষতি হতে লক্ষ্য করবে। এই নির্দেশিকা টি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান আওতাভুক্ত সকল পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের মাত্রা হ্রাস করবে।
সিটি মেয়র খুলনা বিভাগে নির্দেশিকার সফল বাস্তবায়ন এ কর্মশালায় আগত সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় বিষয় ভিত্তিক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক এ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহীন।
প্রবন্ধে বলা হয় তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় দেশে ৩০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এবং এক লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। তামাক বিক্রেতাদের তামাক বিক্রয় বাড়ানোর জন্য প্রচার ও বিজ্ঞাপনে আইন লংঘন করার জন্য প্রতিনিয়ত ও প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে।
বিক্রেতারা শিশুদের কাছে তামাকজাত দ্রব্য ও বিক্রি করে। যা আমাদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের পরিপন্থী। সম্প্রতি বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা প্রণয়ন করছে। এবং প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে যৌথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা মূল লক্ষ্য । তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদনকারী কোম্পানির বিক্রেতাকে লাইসেন্সের আওতায় এনে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিয়ন্ত্রণে আনা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পালনে তামাক কোম্পানী ও বিক্রেতাদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা যুগ্নসচিব লস্কর তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ ছেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খন্দকার কর্মশালা সঞ্চালনা করেন সিয়াম খুলনার নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট মাসুম বিল্লাহ এবং শুভেচ্ছা বক্তৃতা এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক শাহিদা সুলতানা।