ঝিনাইদহে ডিজিটাল প্রতারণায় নতুন ফাঁদ আঁকছে আবাবা! যে কোনো মুহুর্তে পথে বসবে শতো শতো মানুষ।

মোঃ রমজান আলীঃ ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহে বিপুল পরিমাণ টাকার লোভ দেখিয়ে প্রতারণার নতুন ফাঁদ আঁকছে আবাবা। ডিজিটাল জালিয়াতি তে তাদের মূল টার্গেট তরুণ সমাজ। নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত আবাবাতে ক্যারিয়ার গড়ুন ব্যানারে এই প্রতারণা করছে তারা।

জানা যায়, সম্প্রতি বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও জনবহুল অঞ্চলে নানা আয়োজনের মাধ্যমে ও সহযোগিতার এ প্রতারণা সংস্থা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিদেশে বসে দেশের টাকা লুণ্ঠন ও অর্থনৈতিক অবস্থা ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে এ পরিকল্পনা বলে মনে করেন সমাজের সচেতন নাগরিকেরা।

ঝিনাইদহের কুমড়াবাড়িয়া ও মুরারিদহ গ্রামে এই সিন্ডিকেট সক্রিয় ভাবে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে, খোজ নিয়ে জানা যায় মুরারিদহ গ্রামের প্রবাসী সোহান এবং তার ভাই সোহাগ শিমুল এবং কুমড়াবাড়িয়া গ্রামের প্রবাসী সবুজ তার স্ত্রী সমাপ্তি, বায়েজিদ,তাবিবুর,নজরুল এরাই ঝিনাইদহের আবাবা এ্যপ্লিকেশনের মুল সিন্ডিকেট।

এই আবাবা এ্যাপ্লিকেশন কিছুদিন পূর্বে স্লিলেজ নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা হয়েছে।
এখন আলিবাবা ডটকমের লোগো নকল করে তারা বলছে এটা আলিবাবা ডটকমের সাখা অথছ এরা সম্পূর্ণ ভুয়া একটি সিন্ডিকেট। দেশের টাকা পাচারের বিষয় নিয়ে সাংবাদিক এম.মাসুম আজাদ নিউজ করলে মুরারীদহ গ্রামের বিএনপির চিন্তিত সন্ত্রাসী সোহাগ কলম্বো ডিয়ার সোহানের ভাই সাংবাদিককে ফোন করে প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে। এই সোহাগ CEO এনজিওতে চাকরি করে,বিষয়টি খোতিয়ে দেখা হবে এই এনজিওর সাথে এদের কোনো যোগসূত্র আছে কিনা।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলার বসবাসরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সচেতন নাগরিক বলেন, এ বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ঝুঁকিপূর্ণ। যখন তখন এসব সাইট প্রতারণা করে চলে যাবে তা শতভাগ নিশ্চিত। ইতিপূর্বে এমন বিভিন্ন ব্যানারে এমন প্রতারণা চলেছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজকে টার্গেট করে এসব কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।কোনভাবে এসবের সঙ্গে জড়িয়ে নিজের জীবন ও অর্থনৈতিক অবস্থার ক্ষতিসাধন করা যাবেনা। সমাজ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।

আর পূর্বে যারা লুটপাট করে পালিয়েছে তাদের মতোই এই সোহাগ,শিমুল,বায়েজিদ,তাবিবুর যখন তখন পালাবে তখন ঝিনাইদহের শতো শতো মানুষের হাহাকার পড়ে যাবে।

ঝিনাইদহের পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাধারণ জনগণ দাবি করেছেন,ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি টাকা এই প্রতারক চক্র বিদেশে পাচার করছে অথচ কোনোই ব্যাবস্থা নেই প্রশাসনের। অনতিবিলম্বে এই সিন্ডিকেটের কুমড়াবাড়িয়া ও মুরারিদহ গ্রামের মুলো হোতাদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *