বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :
একযোগে দেশের ৬১ টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের মধ্য খুলনা নির্বাচনের ভূমিকা রয়েছে অন্যরকম।
বললেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
আমাদের খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিরোধী কোন দল অংশগ্রহণ না করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছে সাবেক সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সৈনিক। বার বার সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা কনিষ্ঠ ভাই এসএম মর্তুজা রশিদী দারা।
তালুকদার আব্দুল খালেক আরও বলেন আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বিকাল পাঁচটায় জেলার দলীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী।
প্রধান অথিতি তালুকদার আব্দুল খালেক তার বক্তব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদকে দলীয় সমর্থিত প্রার্থী করায় প্রধানমন্ত্রী দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শেখ হাসিনা বিহীন আওয়ামী লীগ কল্পনা করা সম্ভব নয়। সরকারপ্রধানের অনেক অর্জন রয়েছে সেগুলিকে তৃণমূলে প্রচার করতে হবে। এই নির্বাচন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ চলার পথের ভুল ত্রুটি সংশোধন করে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে তাঁর মনোনীত প্রার্থী সমর্থিত সকল প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করতে হবে।
সভাপতি তার বক্তব্য তাকে পুনরায় দলীয় সমর্থন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জনান।
তিনি আরো বলেন আমি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কোন দিন যায় নি আমার জীবন দশায় যাবনা আমি সংগঠনের দুর্দিনে ঢাকায় সভায় বলেছিলাম নো হাসিনা নো ইলেকশন নো হাসিনা নো ডায়ালগ।
সংগঠন আমাকে সমর্থন দিয়েছেন আমি আশাবাদী নেত্রীর স্বাক্ষরকে সম্মানিত করতে দলের নেতাকর্মীরা আমার সাথে ছিল আগামীতেও থাকবে।
তিনি আরো বলেন চলার পথে ভুল ত্রুটি হলে আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজকের সভায় আলোচনায় অংশ নেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট সোহরাব আলী সানা কাজী বাদশামিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট এম এম মজিবুর রহমান এ্যাডভোকেট রবীন্দ্রনাথ মন্ডল অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম বিএমএ সালাম মোস্তফা কামাল খোকন এ্যাডভোকেট অধ্যাপক নিমাই চন্দ্র রায় রফিকুর রহমান রিপন মোঃ শরিফ উদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু মোঃ কামরুজ্জামান জামাল এডভোকেট ফরিদ আহমেদ আবু সালেহ জুবায়ের আহমেদ খান জবা এমেরি আজ কচি এ্যাডভোকেট নবকুমার চক্রবর্তী অজয় সরকার শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল তারিক হাসান মিন্টু এ্যাডভোকেট শাহ আলম শেখ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম লাভু ইসলাম কাজি শামিম আহসান মোজাফফর মোল্লা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান বাবলু অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ খায়রুল আলম শাহেদুজ্জামান সম্রাট ননী গোপাল মন্ডল খান নজরুল ইসলাম শেখ আকরাম হোসেন শেখ আবুল হোসেন আনোয়ার ইকবাল মন্টু অধ্যাপক সালাম ব্লুরায় গাঙ্গুলী জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল ফারহানা হালিম মোসাম্মদ শামসুন্নাহার শিউলি আর শাহীনা আক্তার লিপি ফারজানা নিশি অমিও অধিকারী আনিসুর রহমান মুক্ত মোঃ আজগর বিশ্বাস তারা মোহাম্মদ জামিল খান মোল্লা আকরাম হোসেন কে এম আলমগীর হোসেন বিনয় কৃষ্ণ রায় শেখ কামরুল হাসান টিপু শাহনাজ হোসেন জোয়াদ্দার মৃণাল হাজরা আশরাফুজ্জামান বাবুল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান অশোক হোসনেয়ারা চম্পা নাজনীন নাহার কনা শেখ মোঃ আবু হানিফ এম এম আজিজুর রহমান রাসেল মোতালেব হোসেন মিয়া এ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার প্রিয়া এ্যাডভোকেট জেসমিন পারভীন মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান কচি আজাদুর রহমান সরদার জাকির হোসেন মোঃ ইমরান হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার জন্মদিন উপলক্ষে তার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করে দোয়া করা হয়।
এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাতীয় সংসদ উপনেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী স্মরণে স্মরণ সভা ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ এফ এম মাসুদুর রহমানের স্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অসিত বরণ বিশ্বাসের সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়।