মোঃ আশরাফুল ইসলাম,মানিকগঞ্জ.
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া গ্ৰামের কাবুল হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিপ্লব( ৫০) কে প্রায় দুই যুগ (২৩ বছর) পর মিরপুর থেকে আটক করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার মিরপুরের ৬০ ফিট নামে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যা ব-৪ এর একটি চৌকুস আভিযানিক দল। গ্রেফতারের বিষয়টি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান র্যাব-৪ সিপিসি ৩ এর লে.কমান্ডার আরিফ হোসেন।
আসামি বিপ্লবের বাড়ি মানিকগঞ্জে সদর উপজেলার পাজ্ঞনখাড়া গ্ৰামে। বিপ্লব ঢাকার মিরপুরের ৬০ ফিট এলাকায় বসবাস করতেন। র্যা ব- জানায়,১৯৯৯ সালের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজনৈতিক মতবিরোধের জের ধরে আসামি বিপ্লব ও তার সহযোগীরা হামলা প্রস্তুতি নিয়ে গড়পাড়া গ্ৰামের মোতালেব হোসেনের বাড়িতে যায়। মোতালেবকে না পেয়ে বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শের কাবুলের ওপর হামলার ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরের দিন সকালে বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন মোতালেব হোসেন । ঘটনার পর থেকে আসামি বিপ্লবসহ অন্যান্য আসামিরা পলাতক ছিলেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।পরে আদলত আসামি বিপ্লব ও মনিরকে মৃত্যুদণ্ড এবং নিপ্পাই, মোশারফ হোসেন ও উজ্জ্বল , মোশাররফ চৌধুরীকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করলে আসামি মনির উচ্চ আদালতে বেকুসুর খালাস পায়।চার বছর পূর্বে জেলহাজতে মৃত্যুবরণ করেন আসামি মোশাররফ হোসেন। এছাড়া অপর আসামি মোশাররফ চৌধুরী বর্তমানে জেল হাজতে আছেন।
লে.কমান্ডার আরিফ হোসেন জানান, ঘটনা পর বিপ্লব দীর্ঘ ২৩ বছর পলাতক ছিলেন । আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবা ও মায়ের নাম ঠিক রেখে নিজের নাম পরিবর্তন করে বিপ্লবের পরিবর্তে শহিদুল ইসলাম নাম ব্যবহার করে আত্মগোপনে ছিলেন। এছাড়া গ্রেফতার এড়াতে সে তার পেশা পরিবর্তন করতেন। প্রথম দিকে ঢাকার বিভিন্ন দোকানে কর্মচারী ছিলেন। এবং রাজমিস্ত্রী, ইলেকট্রনিক মিস্ত্রী বাসার দারোয়ানের কাজ করতেন। পরবর্তীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজ পায় । সেখানে কাজ করে তার জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আটককৃত আসামি বিপ্লব কে মানিকগঞ্জ সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।