বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :
গত দুইদিন যাবৎ দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ২ টি বিভাগ খুলনা ও বরিশাল এলাকায় দমকা ঝড়ো হাওয়া সাথে ভারী ও মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। এবং নদীগুলোতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীকূলীয় নিম্ন এলাকাগুলো আবারো পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবারও প্রতিকূলতা অবস্থার মধ্য বঙ্গোপসাগর সহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় দুটি বিভাগ খুলনা ও বরিশাল এর ২০ টি
নদী উপকূলীয় এলাকা।
গেল সপ্তাহের সমুদ্রের সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাব কেটে উঠতে না উঠতে সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ফের সমুদ্র ও নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।
ফলে বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় এলাকা গুলোতে সর্তকতা সংকেত বহাল রেখে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে।
সাথে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বলেছেন যে সকল জেলেরা সমুদ্র নদীতে ছোট নৌকা ও ট্রলার নিয়ে মাছ ধরার কাজে আছেন তাদেরকে আবহাওয়া অনুকূলে না আসা পর্যন্ত অতিদ্রুত সমুদ্র নদী বন্দরের গভীর পাদদেশ থেকে ছেড়ে সকল মাছ ধরার ট্রলার ও জেলেদের নিরাপদ আশ্রয় এসে আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।
তবে এই অবস্থার মধ্য গভীর দুশ্চিন্তা মধ্যে পড়েছেন দক্ষিণ বাংলার খুলনা বিভাগের মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীরা।
মোংলা রামপাল বাগেরহাট দ্বীগরাজ হিরণ পয়েন্টে করমজল চালনা দাকোপে সাতক্ষীর এলাকা গুলি খুলনা বিভাগের অন্যতম মৎস্য চাষের ঘের এলাকা হিসেবে চিহ্নিত।
সেই ক্ষেত্রে উল্লেখিত এলাকাগুলোর মৎস্যচাষী ঘের মালিকরা দুঃখ করে বলেন গত একসপ্তাহ আগে যে পরিমাণে পানি আমাদের এলাকায় উঠেছিল তাতে অধিকাংশ মাছ ভেসে গিয়ে আমরা এখন বর্তমানে ক্ষতির সম্মুখীন।
তবে এখনো অধিকাংশ নদী উপকূলীয় নিম্ন অঞ্চল গুলোতে পানিতে তলিয়ে আছে। সেই ক্ষেত্রে নতুন করে যদি আবারো পানি উঠে এলাকা তলিয়ে যায়।
তাহলে দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা খুলনা বিভাগের সকল মৎস্য চাষিরা কোটি কোটি টাকার লোকসান এর কারণে উল্টে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ঋণগ্রস্থ হবে বলে জানান এলাকার অধিকাংশ মৎস্যচাষী ঘের মালিকরা।