বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :
কে এই সৌম্য যার জুলুম অত্যাচারে অতিষ্ঠ চালনা পৌরসভার একাংশের এলাকাবাসী।
আর এই কথিত সৌম্য বিশ্বাসের অপকর্মের বিচার এর অপারগতা প্রকাশ করেছে পৌরসভার মেয়র সনদ কুমার বিশ্বাস সহ দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল দত্ত।
খুলনা জেলার দাকোপ থানাধীন চালনা পৌরসভার সৌম্য বিশ্বাস নারী ধর্ষণ চুরি-ছিনতাই মারামারি জমি দখল জালিয়াতি বাটপারি এলাকায় নেশাদ্রব্য বিক্রির অন্যতম সম্রাট সৌম্য বিশ্বাস।
চালনা পৌরসভার একাংশ জুড়ে তার অত্যাচার-নির্যাতনের অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
উল্লেখিত এলাকার জনগণের অভিযোগের অন্ত নাই সৌম্য বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
সেক্ষেত্রে এলাকার ভুক্তভোগী মানুষেরা পৌরসভার মেয়রের নিকট বিচারের সুপারিশ করলে মেয়র বলেন সৌম্যর বিষয়টি আলাদা ভাবে আমি দেখছি তোমরা এ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করো না।এবং সৌম্য কে ডেকে বিষয়টি আমি মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব বলে ভুক্তভোগী মানুষদের সান্ত্বনা দেন চালনার পৌরসভার মেয়র সনৎ কুমার বিশ্বাস।
অথচ বিষয় টি দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলে ও বিচারের অপারগতা প্রকাশ করছে মেয়র সনদ বিশ্বাস।
তবে বিষয়টি খুলনার বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের গোচরীভূত হলে তারা বিষয়টি সত্যতা জানতে চালনা পৌরসভা এলাকায় সরেজমিনে তদন্ত অভিযান চালায়।
এবং এলাকার গণমানুষেদের প্রকাশ্য তথ্য অনুসন্ধানে উঠে আসে সৌম্য বিশ্বাসের যত অপকর্মের কথা।
এ বিষয়ে এলাকার মানুষের তথ্য সূত্র মতে পৌর মেয়রের নিকট সৌম্য বিশ্বাস এর অপকর্মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান সৌম্য মোটামুটি খারাপ ছেলে না সে অন্য কোন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত বলে আমার জানা নেই।
তবে এলাকাবাসী কিছু অভিযোগ আমার কাছে জানিয়েছে এবং বিষয় টি নিয়ে আমি ব্যবস্থা নেব বলে তার মুঠোফোনটির লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এলাকার মানুষের অভিযোগ এতকিছু অপকর্মে ঘটিয়েও ও বহাল তবিয়তে সৌম্য বিশ্বাস কিভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশের নাকের ডগার উপর দিয়ে।
এবং সালিশ বিচার করার পরে ও কোনো বিচার বা বিচারকদের তোয়াক্কা না করে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ওপেন সিক্রেট ঘুরে বেড়াচ্ছে সৌম্য বিশ্বাস।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী আরো জানান আমরা বার বার দাকোপ থানায় লিখিত অভিযোগ আকারে জমা দিয়েছি।
সৌম্য বিশ্বাসের অপকর্মের অভিযোগ স্থানীয়
দাকোপ থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ওসি উজ্জ্বল দত্তর বরাবর।
কিন্তু অভিযোগ জমা দিলেও তার কোন সুষ্ঠু প্রতিকার পাচ্ছেনা সৌম্য কর্তৃক নির্যাতিত অসহায় মানুষেরা।
এবং সরেজমিনে গিয়ে এটাও প্রমাণ পাওয়া যায় যে সৌম্য বিশ্বাস এর পক্ষ হয়ে বিভিন্ন মহলের ফোন পেয়ে দাকোপ থানার ওসি উজ্জ্বল দত্ত বিভিন্ন কৌশলে অভিযোগকারী ভুক্তভোগীদের থানায় ডেকে নিয়ে এনে বসিয়ে রেখে কালক্ষেপণ করে অবশেষে বাহিরে থেকে ওসি উজ্জ্বল দত্ত বাদীদের ফোন দিয়ে বলেন আপনারা আজকে চলে যান আমি বাইরে ডিউটিতে ব্যস্ত আছি।
দুইদিন পরে আসেন আমি ঝামেলা মিটিয়ে দিচ্ছি। অথচ তার ফোনের কথা অব্দি শেষ।
কিন্তু কোন কথা কাজের মিল রাখছেনা নিরীহ নির্যাতিত মানুষগুলির এই ওসি উজ্জ্বল দত্ত।
অথচ এই অসহায় মানুষগুলোকে দীর্ঘদিন ঘুরানোর পড়ে শেষ পর্যন্ত
ভিকটিম সৌম্য বিশ্বাস ও নির্যাতিত অসহায় বাদীদের ডেকে নিয়ে সালিশে বসলেও তড়িঘড়ি করে শেষ পর্যন্ত সৌম্য বিশ্বাসের পক্ষে রায় দেন দাকোপ থানার ওসি উজ্জ্বল দত্ত।
এতে করে চরম হতাশ ও নিরাশ হয়ে ফিরে আসে ভুক্তভোগী অসহায় মানুষেরা।
আর তখন থেকেই আলোচনার ঝড় ওঠে দাকোপ থানার ওসি উজ্জ্বল দত্ত এবং চালনার পৌর মেয়র সনৎ কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
সর্ব মহল থেকে শুরু করে প্রশাসন পর্যন্ত বিচারের কাছথেকে চরম হতাশা গ্রস্থ হয়ে ফিরে এসে আতঙ্কের
মধ্য রয়েছে এই কুখ্যাত সৌম্য কর্তৃক অত্যাচারিত অসহায় মানুষেরা।
সকল মহলে বিচারে নিরাশ হয়ে ফিরে এসে এখন অবলম্বন শুধুমাত্র সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রতি দ্বারস্থ হয়ে তাদের কাছে এই কুখ্যাত লম্পট মাদক ব্যবসায়ী ভূমিদস্যু সৌম্য বিশ্বাসের বিরুদ্ধে
সরোজমিনে এসে তদন্ত করে
সঠিক বিচারের জন্য আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।