সরকার মোখলেছুর রহমান
ইতালি থেকে।
ইতালির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কে? । ইলেকশন ডে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ইতালির মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দুই সপ্তাহ আগে সম্পাদিত সর্বশেষ সমীক্ষায় যা বেরিয়ে এসেছিলো, ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার পর্যন্ত নির্বাচনী হাওয়া একই দিকে বইছে নিরবিচ্ছিন্নভাবে। ৪৫ বছর বয়সী প্রবল জাতীয়তাবাদী নেত্রী এবং সাংবাদিক জর্জা মেলোনির সাড়া জাগানো দল ফ্রাতেল্লি দিতালিয়া (ব্রাদার্স অব ইটালি) রোববারের সাধারণ নির্বাচনে একক রাজনৈতিক দল হিসেবে শীর্ষে থাকার সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে।
সংসদের নিম্নকক্ষের সাবেক ডেপুটি স্পিকার (২০০৬-২০০৮) এবং যুব বিষয়ক মন্ত্রী (২০০৮-২০১১) জর্জা মেলোনির সাথে প্রথম ছবিতে সুপরিচিত আরও যে দুই ডানপন্থী নেতাকে দেখতে পাচ্ছেন অর্থাৎ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনির নেতৃত্বাধীন লেগা নর্দ (নর্দার্ন লীগ) এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুস্কোনির নেতৃত্বাধীন ফোরছা ইতালিয়া (লেটস গো ইটালি) তাদের সমন্বিত ঐক্যবদ্ধ জাতীয়তাবাদী জোট এবারের নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রদত্ত ভোটের ৪৫% পেয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, এমন আভাসও দেয়া হয়েছে পরিচালিত সমীক্ষায়।
মেলোনি-সালভিনি-বেরলুস্কোনি ডান জোটের (৪৫.৯) চাইতে ব্যাপক পিছিয়ে আছে এনরিকো লেত্তার নেতৃত্বাধীন বড় দল পার্তিতো দেমোক্রাতিকো (ডেমোক্রেটিক পার্টি) সহ কয়েকটি ছোট দলের সমন্বয়ে গড়া বাম জোট (২৮.৫)। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে ডান বাম কোন জোটে না গিয়ে একলা চলো নীতি অবলম্বন করে তার দল মভিমেন্তো চিনকুয়ে স্তেল্লে (ফাইভ স্টার মুভমেন্ট) নিয়ে তৃতীয় (১৩.২) স্থানে আছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি দি মাইও তার সঙ্গীসাথীদের নিয়ে ফাইভ স্টার মুভমেন্ট থেকে বেরিয়ে গিয়ে নতুন দল গঠন করায় জুসেপ্পে কন্তে এবং ফাইভ স্টার মুভমেন্ট উভয়েই শক্তি হারিয়েছে যারপরনাই।
একক দল হিসেবে শীর্ষে থাকা জর্জা মেলোনির ফ্রাতেল্লি দিতালিয়া’র (২৪.৪) পেছনে অবস্থান করছে ডেমোক্রেটিক পার্টি (২১.৫), ফাইভ স্টার মুভমেন্ট (১৩.২), নর্দার্ন লীগ (১২.১) এবং লেটস গো ইটালি (৭.৮)। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, প্রায় ৩০ শতাংশ জনগণ এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ২৫ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে কাদেরকে ভোট দেবে। ডানপন্থী জোটের দুয়ারে যখন কড়া নাড়ছে সম্ভাব্য বিজয়, তখন বামপন্থীরা আশা করছে তারা ঐসব ভোটারের সমর্থন পেতে পারে, যারা শেষ মুহুর্তের সিদ্ধান্তে হয়তো ভোট দেবে ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং তাদের সমমনা জোটকে। বিগত বছরগুলোতে সরকার পরিচালনায় বামপন্থীরা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, এমন অনুভূতিই কাজ করছে ইতালি জুড়ে সাধারণ জনগণের মাঝে।