বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :
প্রচলিত প্রবাদ বাক্যের কথা সরিষার গায়ে যখন ভূতের আছড় ভূত ছাড়াবে কি উপায়।
বরাবরই প্রশাসনের কেউ না কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছে দুর্নীতি অপকর্ম অনৈতিক কাজ ও নেশা দ্রব্য বিক্রেতাদের সাথে সম্পৃক্ততা বা সেবনের দায়ে।
গতকাল খুলনা নগরীতে তেমনি একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যকে ইয়াবা ট্যাবলেট ও অবৈধ গুলিসহ আটক করেছে খুলনা র্্যাব ৬। এ সময় আরো এক ব্যক্তিকে ইয়াবা ও
গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লবনচোরা থানার পরিদর্শক তদন্ত মোঃ আমিরুল ইসলাম।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে কৃষ্ণনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে লবনচোরা থানায় পৃথক মামলা করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্য মোঃ মেহেদী হাসান তিনি লবনচোরা থানা ওসির দেহরক্ষী। অপরজন হলেন খুলনা নগরীর পার্শ্ববর্তী এলাকার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা হুমায়ুন কোবির তিনি কুখ্যাত মাদক ব্যাবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
তথ্যসূত্রে জানাজায় কৃষ্ণনগর এলাকার হুমায়ুন কোবির দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ধরনের নেশা দ্রব্য বিক্রি করে আসছে। এবং আটককৃত পুলিশ সদস্য মেহেদী হাসান পরোক্ষভাবে মাদক ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবিরের সাথে সম্পৃক্ততা বজায় রেখে দীর্ঘদিন যাবত এই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগে এর সত্যতা প্রমাণ পাওয়া গেছে ।
কৃষ্ণনগর এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি বলেন এই মেহেদী হাসান পুলিশকে মাঝেমধ্যে হুমায়ুন কবিরের বাসায় আসতে দেখা যায়। এবং দীর্ঘ সময় ধরে আড্ডা দিয়ে সময় কাটায়। তাছাড়া হুমায়ুন কবিরকে নেশা দ্রব্য বিক্রি করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে।
তার প্রমাণ এলাকাবাসীর কাছে আছে বলে জানান।
এলাকাবাসীর গোপন তথ্যসূত্রে পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকালে হুমায়ুন কবিরের বাসায় অভিযান চালায় ওই সময় হুমায়ুন কবিরের বাসায় ছিলেন পুলিশ সদস্য মেহেদী হাসান।
ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে মেহেদী হাসানের কাছ থেকে
৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় ।
পাশাপাশি হুমায়ুন কবিরের ঘরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ১০০পিস ইয়াবা ও অবৈধ গুলি উদ্ধার করা হয় । অভিযান ও উদ্ধারকার্য শেষে তাদের উভয়কে র্্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়। রাতে তাদের লবনচোরা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এঘটনায় র্্যাবের এসআই বজলুর রশিদ মামলা করেন এবং আজ ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকল গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে লবনচোরা প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান বলেন উদ্ধারকৃত গুলি পরীক্ষার জন্য সিআইডির ল্যাবে পাঠানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং আজ দুপুরে তাদের খুলনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।