মোঃ আশরাফুল ইসলাম,মানিকগঞ্জ.
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় রুনা আক্তার নামে এক এসএসসি পরিক্ষার্থী রাতে কন্যা সন্তান জন্ম দিয়ে সকালেই পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে গনিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। রুনা আক্তার নামে এই পরীক্ষার্থী উপজেলার দেলুয়া গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। সে উপজেলার কর্নেল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ছাত্রী।
বুধবার রাতে সাটুরিয়ার একটি ক্লিনিকে সিজিরিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে রুনা আক্তার একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু সে এবার এসএসসি ২০২২ সালের পরিক্ষার্থী হওয়ায় তার সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া কন্যা সন্তানকে রেখে বৃহস্পতিবার সকালে সাটুরিয়া সরকারি আর্দশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে গনিত পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। তবে মা মেয়ে দু জনেই সুস্থ আছে বলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক জানিয়েছেন।
পরীক্ষার্থী রুনা আক্তার বলেন,গতকাল বুধবার রাতে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে আমার একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। আল্লাহর রহমতে আমরা দুজনেই সুস্থ আছি। বৃহস্পতিবার সকালে আমার এসএসসি গনিত পরীক্ষা থাকায় আমি আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শিশু বাচ্চাকে ক্লিনিকে রেখেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। আমার পরীক্ষা অনেক ভাল হয়েছে এবং ভাল ফলাফল করব বলে আমি আশা করছি। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।
কর্নেল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, রুনা নামের ওই শিক্ষার্থী পড়াশোনায় অনেক ভাল। লেখাপড়ায় অনেক আগ্রহ আছে তার। সে আমার বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ছাত্রী। শুনেছি সে রাতে কন্যা সন্তান জন্ম দিয়ে সকালে গণিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। আমি রুনার সফলতা কামনা করছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব ও সাটুরিয়া সরকারি আর্দশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, রুনা নামে ওই পরীক্ষার্থী সুস্থভাবেই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে। সে কেন্দ্রের ৯ নং কক্ষে গণিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।