মাহাফুজুর রহমান সজিব
সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্ভর) দুপুরে জেলা প্রশাসক, সুনামগঞ্জ বরাবরে ৪০ দিনের কর্মসূচি (কর্মসৃজন) প্রকল্পের ৯নং তালিকায় অর্ন্তভূক্ত শ্রমিক পাথারিয়া ইউনিয়নের ০৩নং ওয়ার্ডের উত্তর গাজীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল হাফিজের ছেলে মো: শেকুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ৪০ দিনের কর্মসূচি (কর্মসৃজন) প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্যে পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর গাজীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল হাফিজের ছেলে মো: শেকুল ইসলামকে ঐ প্রকল্পের তালিকায় ৯নং শ্রমিক হিসাবে তালিকাভূক্ত করা হয়। কাজের শুরুতে ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ওই শ্রমিকের মজুরীর টাকা উত্তোলনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে তাকে দিয়ে মোবাইল সীমের মাধ্যমে একটি হিসাব খুলেন।
তখন ভূক্তভোগী শ্রমিক শেরকুল ইসলাম হিসাব খোলা সিমটি নিজের কাছে নিতে ফেরত চাহিলে ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম সীমটি তার কাছে রেখে দেন এবং পরে ফেরত দিবেন বলে আশ^স্থ করেন।পরে ভূক্তভোগী শ্রমিক একাধিবার যোগাযোগ করে তার সীম ফেরত দেন নাই ইউপি চেয়ারম্যান।
শ্রমিকের সীমে প্রাপ্ত কর্মসূচি প্রকল্পের মজুরীর টাকা ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। উত্তর গাজীনগর গ্রামের ভূক্তভোগী কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক শেরকুল ইসলাম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে বার বার বলেছি আমার সীম ফেরত দেওয়ার জন্য।
দুই বারে প্রায় ৩২ হাজার টাকা এসেছে। কিন্তু আমার সীম থেকে টাকা উঠাইয়া আত্মসাৎ করেছেন। তাই জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দিয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক শেরকুল ইসলাম আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ছিল। তা আবার প্রত্যহারও করেছে।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ জাকির হোসেন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আকারে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলেছি। তদন্তে প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।