সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবকের মৃত্যু,৪ দিনেও মেলেনি লাশ

মোঃ মাসুদ আলম, ব্যুরো চীফ

মাঝে মাঝে সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এটি নতুন কিছু নয়।আর এতে হারায় অনেকের প্রাণ। এ থেকে রক্ষা পেল না আব্দুর রহিম মাসুদ। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশী এ যুবকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএসএফের নির্যাতনে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে। ঘটনার চার দিন পার হলেও এখনো মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।

স্থানীয়ররা জানান, গত সোমবার দুপুর ২টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার দিয়াড় মানিকচক কামারপাড়া গ্রামের বাবলু রহমানের ছেলে আব্দুর রহিম মাসুদসহ (১৮) চারজন কৃষি জমিতে কাজ করছিল। এক পর্যায়ে কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ন বাংলাদেশী স্থান থেকে চারজনকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। এরপর তিনজন পালিয়ে আসলেও আব্দুর রহিম মাসুদকে বিএসএফের হারুপুর ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে।

বিএসএফের নির্যাতনে আব্দুর রহিম মাসুদ মারা যায় বলে খবর পাই তার বাবা বাবলু রহমান। তিনি বলেন, গত বুধবার পর্যন্ত হারুপুর বিএসএফ ক্যাম্পে মাসুদের লাশ পড়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে মাসুদের লাশের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিএসএফ আমার ছেলে মেরে লাশ গুম করেছে।

রাজশাহী জেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আসরাফুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি ভোরের আলোকে জানান , এই ঘটনা ঘটার পর আমি বিজিবির সেক্টর কমান্ডার, সিওসহ ব্যাটেলিয়ান কমান্ডারের সাথে কথা বলে অবগত করেছি। ব্যাটেলিয়ান কমান্ডার আমাকে জানিয়েছি ভারতীয় বিএসএফ বিষয়টি গোপন করছে। আমরা যতদূর জানি ভারতের মুর্শিদাবাদের রানীতলা থানায় মাসুদের মরদেহটি আছে। তবে তৎপরতা চালানোর পর এখন পর্যন্ত লাশটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধারের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিজিবির জোর তৎপরতায় লাশটি দেশে আনা হলে পরিবার অন্তত শান্তি পাবে এবং নিজ হাতে দাফন কাফন করতে পারবে। লাশ না পাওয়ায় পরিবারটি হতাশায় দিন কাটাচ্ছে বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *