বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :
আজ শেষ রাতে ব্রম্ম্য মুহুর্তে চন্ডীপাঠ মহালয়ার শুভক্ষণে মহামায়া দেবী দুর্গা দুর্গতিনাশিনী মা কৈলাস ছেড়ে মর্তলোকে পদার্পণের মধ্য দিয়ে শুভসূচনা শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপুজোর প্রথমপর্ব মহালায়া।
শাস্ত্রমতে মহালয়া হল একটি অমাবস্যা তিথি এ তিথিতে সাধারণত পৃতৃ পুরুষের শ্রাদ্ধ তর্পণ করা হয়।
এদিন তর্পণ করলে পিতৃপুরুষেরা নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান বলে পূরাণ শাস্ত্র মেনে বিশ্বাস করা হয়।
পিতৃপুরুষ গণ আমাদের এই তর্পণ প্রাপ্তিতে আশীর্বাদ করেন। এছাড়া মহালয়ার দিনে অনেক জায়গায় দেবী দুর্গার বোধন হয়।
শরতের শিশির সিক্ত শেফালী ফুলের সুগন্ধে রাত জেগে অধীর অপেক্ষায় মহামায়ার মহালয়ার মাধ্যমে দূর্গা পূজার আগমনী বার্তা বয়ে আনে বাঙালির প্রতিটি হিন্দু ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষের হৃদয়ে।
মহালয়া চন্ডী পাঠের মধ্য দিয়ে মহামায়া দেবী দুর্গার আগমনী বার্তার উপলক্ষে ভক্ত হৃদয়ের বাতায়ন উন্মুক্ত করে দিয়ে মা দেবী দুর্গাকে আহবান করে হৃদয়ের মাঝে বসিয়ে মহালয়া চন্ডীপাঠ শোনার অধীর অপেক্ষায় থাকেন মর্তলোকে মায়ের ভক্তরা।
ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী প্রতি বছরের ন্যায় নগরীর প্রতিটি দুর্গা পূজা মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে আজ প্রাতে মহালয়া অনুষ্ঠান।
আজ এই মহালয়া পর্ব থেকে খুলনার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল কর্মকর্তারা সক্রিয় অবস্থানে থাকবেন প্রতিটি মন্দিরে।
কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকল মন্দির কমিটির ভলেন্টিয়ার বাহিনীরা ও থাকবে প্রশাসন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায়
জানালেন খুলনা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির কর্মকর্তাগণ।
আর এই মহালয়া বোধন পূজা
মধ্য দিয়ে মায়ের পূজার প্রধান ঘট স্থাপন করা হবে।
এবং এই স্থাপিত ঘট আগামী কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি লক্ষ্মী পূজার দিন পর্যন্ত।
মহামায়া দেবী দুর্গার বোধন পূজার ঘট মর্তলোকের সকল ভক্তের আর্তী নিবেদন শ্রদ্ধার মাধ্যমে পূজার্চনা
করে ভক্তদের সকল মনস্কামনা জানাবেন আমাদের মা দেবী দুর্গার শ্রীচরনে। নিবেদন করে সকল দুঃখ কষ্ট থেকে পরিত্রান পাওয়া তথা বিশ্ববাসীর সকল সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আন্তরিকভাবে প্রার্থনা জানানো হবে।
সারা বিশ্বের অশান্তিকে বিনাশ করে শুভ মুহূর্তে মা দেবী দুর্গার কৃপার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠিত করেন।
এই কামনা মা দেবী দুর্গা দুর্গতিনাশিনী মায়ের শ্রী চরণে।