প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে জমে উঠেছে খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন!!

বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :

গত সোমবার নির্বাচন কমিশনারের রিটার্নিং কর্মকর্তা খুলনা জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার কর্তৃক প্রতীক বরাদ্দ হাতে পেয়ে জমে উঠেছে খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন।
প্রচার প্রচারণা ও জনসংযোগের মধ্য দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা।

এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে যাচ্ছে শাসক দলেরই তিন জন সদস্য প্রার্থী।
এর মধ্যে রয়েছে খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদ সে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টিকিট পেয়ে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন।
তবে চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থী আনারস প্রতীক বরাদ্দ চান ।
একই প্রতীক তিন প্রার্থী দাবি করার কারণে রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ করেন।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ লটারির মাধ্যমে মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছে। অন্যদিকে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ও বিএম এর সভাপতি ডাক্তার শেখ বাহারুল আলম কে আনারস। এবং খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ক্রীড়া সংগঠক মর্তুজাকে চশমা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ।

সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মাজহারুল ইসলাম জানান চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ৯ টি সাধারণ সদস্য পদে ২৮ জন এবং ৩ টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে খুলনা জেলা পরিষদে ভোটার রয়েছেন ৯৭৭ জন।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ও বিএম এর সাম্প্রতিক নির্বাচিত সভাপতি ডাক্তার শেখ বাহারুল আলম এক সাক্ষাৎকারে ক্রাইস নিউজের প্রতিনিধি জিকু আলম কে বলেন। আমি আওয়ামী লীগের বিপক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না।

আমি ব্যক্তি কেন্দ্রিক হারুনুর-রশিদের বিপক্ষে নির্বাচন করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরো বলেন যেকোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রতিটি প্রার্থীর ক্ষেত্রে একটি মৌলিক অধিকার।

সেই ক্ষেত্রে আমি খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছি।
নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ভর করে সম্পূর্ণ ভোটারদের নির্ভুল সঠিক সিদ্ধান্তের উপর।
তবে আমি আশা করছি সকল ভোটাররা তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে খুলনা জেলা পরিষদের নির্বাচনের জয়ের মধ্য দিয়ে খুলনা জেলা উন্নয়নের ধারাবাহিকতার গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে নতুন মুখ নির্বাচিত করবেন বলে আমি আশাবাদি।

অপরদিকে সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মর্তুজা রশিদী দারা বলেন আমি ব্যক্তিগতভাবে ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থেকে বিভিন্ন ক্রীড়া অঙ্গনের সঙ্গে সাংগঠনিক ভাবে জড়িত থেকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা বজায় রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শের দল আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি।
পাশাপাশি আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের শরীরে মিশে আছে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির আদর্শের রক্ত।

আমার বড় ভাই প্রয়াত রাজনীতিবিদ এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা সাবেক সংসদ হুইপ। তিনি তার রাজনীতির প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ বাংলার খুলনা জেলার আওয়ামী লীগের একজন বলিষ্ঠ রাজনীতিবিদ ছিলেন। এবং শেখ মুজিবের আদর্শের রাজনীতি করতে গিয়ে বারবার কারানির্যাতিত হলেও
কখনো পিছু হটেনি আওয়ামী রাজনীতি থেকে।

তাই আমি এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আওয়ামী লীগের রাজনীতি অতপ্রত ভাবে ধরে রাখার লক্ষ্যে খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে আমি আবারো রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ফিরে এসে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির মধ্য দিয়ে খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তথা জনগণের পাশে থাকতে চাই।
এবং সকল ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা এবং দোয়া কামনা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *