মোঃ মাসুদ আলম, ব্যুরো চীফ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আজ। মধুমতি নদী বিধৌত গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান। নিভৃত এই পল্লীতেই ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান। শৈশব-কৈশোর কেটেছে বাইগার নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায় বাঙালির চিরায়ত গ্রামীণ পরিবেশে, দাদা-দাদীর কোলে-পিঠে। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে শেখ হাসিনা জ্যেষ্ঠ সন্তান। গ্রামের ধুলামাটি আর সাধারণ মানুষের সাথে বেড়ে উঠেন শেখ হাসিনা। গ্রামের মাটি ও মানুষের সাথে তাই তার রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। শেখ হাসিনার মেধা-মনন, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। শেখ হাসিনার কল্যাণমুখী নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাঙালি জাতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মদিন নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। এদিকে উপজেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন গোদাগাড়ী এর আয়োজনে আজ ( ২৮ সেপ্টেম্বর-২০২২ খ্রি.) বুধবার বাদ যোহর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোঃ আব্দুল অদুদ, ফিল্ড সুপারভাইজার, ইফা,গোদাগাড়ী, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. জাহাঙ্গীর আলম, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ জানে আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বক্তারা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা সভা শেষে হলে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, খতিব ও পেশ ইমাম, উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। মিলাদ ও দোয়ায় প্রায় আড়াই শতাধিক আলেম ওলামা ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। দোয়া শেষে উপস্থিত সকলকে তবারক বিতরণ করা হয়।