মোঃ আশরাফুল ইসলাম,মানিকগঞ্জ.
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার লেমুবাড়ী বিনোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে দূর্নীতি করে এ নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে দাবি করছেন নিয়োগ প্রত্যাশি মোঃ সানোয়ার হোসেন।
জানা গেছে, লেমুবাড়ী বিনোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। গত ১৬ই এপ্রিল অনুষ্ঠিত পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৩ জন প্রার্থী।লিখিত নেয়ার পর স্হগিত করা হয় পরিক্ষা এবং পুনরায় প্রকাশ করা হয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।পরবর্তীতে গত ১৬ই আগস্ট আবারো নেয়া হয় নিয়োগ পরিক্ষা।
মোঃ সানোয়ার হোসেন বলেন, “ আমি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন করি । গত ১৬ই এপ্রিল অনুষ্ঠিত পরিক্ষায় আমরা অংশগ্রহণ করি মোট ৩ জন প্রার্থী।উক্ত পরিক্ষায় আমি প্রথম স্থান হই এবং বাকী দুইজন ফেল করায় স্হগিত করা হয় পরিক্ষা এবং পুনরায় প্রকাশ করা হয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।পরবর্তীতে আমি পুনরায় আবেদ করলে আমার আবেদনটি বাতিল করা হয় ।কারণ হিসেবে আমাকে বলা হয় আমার শিক্ষা সনদে আইসিটি না থাকায় আমার আবেদন বাতিল করা হয়েছে ।আমি বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসারকে অবগত করলে তার সহযোগীতায় আমাকে পরিক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া হয় । কিন্তু উক্ত নিয়োগ পরিক্ষায় অনিয়ম ও দূর্নীতি করে পূর্বের ফেল করা প্রার্থীকে প্রথম স্থান দিয়ে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষনা করা হয় । আমি মনে করি উক্ত নিয়াগ পরিক্ষায় করা হয়েছে নিয়োগ বাণিজ্য । তাই প্রশাসনের কাছে আমি অনুরোধ করছি উক্ত বিষটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক ।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিবাক সদস্য বলেন ,প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি দূর্নীতি করেছে । আমরা এই দূর্নীতি সয্য না করতে পেরে স্কুলে গিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি ।আমরা মনে করি সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীন বন্ধু রায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০২১ সালের জনবল কাঠামোতে লিখা আছে যে, উক্ত বিষয়ে নিয়োগের জন্য কারিগরী শিক্ষাবোর্ড থেকে ৩ বছরের ডিপ্লোমা অথবা আইসিটি বিষয়ে এইচএসসি পাস থাকত হবে । সানোয়ারের আইসিটি না থাকায় তার আবেদন বাতিল করা হয় । কিন্তু সে বাতিল না করার জন্য আবেদন করলে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বাছাই কমিটির সদস্যরা বসে সম্মিলিত ভাবে তাকে একটি সুযোগ দেই যেহেতু ছেলেটি পূর্বে একবার অংশগ্রহণ করেছিলো।তবে পরবর্তীতে ওই ছেলেটি কম মার্ক পায় ।”
বিদ্যালয়ের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ হোসেন বলেন, “প্রথম পরিক্ষাতো আমরা নেইই নাই।প্রথম পরিক্ষায় ভাইবা হয় নাই,প্যাট্টিক্যাল হয় নাই ।শিক্ষা অফিসাররা বললো যেহেতু তিনজন প্রার্থী কারো আইসিটি নাই তাইিএই নিয়োগ বাতিল করাহোক । শুধু ওখানেই নয়,আমরা ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়েও ওই নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে ।আর যেখানে একটা ক্যান্ডিডেট পাস মার্ক পায় নাই সে করছে অভিযোগ এখানে দূর্নীতি হইছে।সে চ্যালেঞ্জ করতে পারে;দরকার হইলে আমরা খাতা দেখাইতে পারি।”
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা জাহান বলেন,“ এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি । কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।”