মহেশখালীতে আরফাত হত্যার খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

তৈয়ব উল্লাহ সিকদার বাবু
কক্সবাজার জেলা, প্রতিনিধি।

মহেশখালী উপজেলায় কলেজ ছাত্র আরফাত উদ্দিন এর হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মানববন্ধন ও প্রতিবাদ

আজ ২৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২টায় মহেশখালী কলেজের প্রধান সড়কে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী বৃন্দের ব্যানারে মহেশখালী কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র আরফাত উদ্দিনকে কৃষি জমিতে গরুয়ে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র হত্যাকান্ড সংঘটিত এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন আয়োজন করেন। এতে কয়েক-শতাধিক ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকেরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন.. মহেশখালী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আহমদ কবির, অধ্যাপক বাবু আশীষ কুমার চক্রবর্তী, অধ্যাপক ওয়াকার উদ্দিন, অধ্যাপক মোস্তফা কামাল সোহাগ, অধ্যাপক ছৈয়দ আলম, ক্রিড়া শিক্ষক আমিনুল হক’সহ শিক্ষার্থী। এ সময় বলেন- মহেশখালী কলেজের মেধাবী ছাত্র আরফাতকে সামান্য গরু কৃষি জমির ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। খুনীদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি না দিলে আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে বড় মহেশখালীর আলমগীর ফরিদ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ মাঠ সংলগ্ন কৃষক আবুল কাছিমের কৃষি জমিতে একই এলাকার শহর মল্লুকের পুত্র শাহ আলম ও সালাম মিয়া ড্রাইভারের বাড়ির একটি গরু ধানক্ষেতে ঢুকে ক্ষেত নষ্ট করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষে বাকবিতন্ডা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানও হয়। পরে ঐদিন রাত ৯ টার দিকে আবুল কাছিমকে আবারও পথ অবরোধ করে তাকে মারধর করেন। খবর পেয়ে তার সন্তান সোহেল এবং ভাতিজা কলেজ ছাত্র আরফাত উদ্ধার করতে গেলে পরিকল্পিত ভাবে স্থানীয় শহর মুল্লুকের পূত্র ছালাম মিয়া ড্রাইভার, শাহ আলম,তৌহিদ সহ ও বেশ কিছু নারীসহ সড়কের উপরই লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এতে মারাত্মক ভাবে আহত হন আরফাত ও সোহেল। তাদের প্রথমে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া যাওয়া হয়। কর্তৃব্যরত চিকিৎসক আঘাত গুরুত্বর হওয়ায় তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে আহত আরাফাতের অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে চট্টগ্রাম ট্রিটমেন্ট হাসাপাতালে দুইদিন আইসি’তে থাকার পর ২৭ সেপ্টেম্বর আরাফাতের মৃত্যু হয়। উক্ত ঘটনায় নিহতের মা কহিনুর বেগম, মহেশখালী থানায় ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান নিহত আরফাত উদ্দিন নম্র ভদ্র ও ভাল স্বভাব প্রকৃতির ছেলে, বড় মহেশখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি, জাগিরাঘোনা এলাকার মোহাম্মদ জালাল উদ্দীনের পূত্র এবং মহেশখালী কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

তৈয়ব উল্লাহ সিকদার বাবু কক্সবাজার (মহেশখালী)
01876993529

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *