সারা দেশের সাথে খুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মদিন পালিত হয়েছে!!

বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :

খুলনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও মাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার জৈষ্ঠ সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মদিন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ এর দলীয় কার্যালয়ে ৭৬ পাউন্ড কেক কাটার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।
এতে অংশগ্রহণ করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা সহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেসিসি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।

প্রথমে আজ সকাল ১১ টায় খুলনা দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সকল নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে ৭৬ পাউন্ডের কেক কাটেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ আয়ু সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন উপস্থিত সকল নেতাকর্মীর গন।

এছাড়া পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নগরীর ৩১ টি ওয়ার্ড এর সকল মসজিদ মন্দির উপসনালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া ও মিলাদ এর আয়োজন করা হয়েছে।

কেক কাটা শেষে প্রধান অতিথি তার বক্তৃতার মধ্য দিয়ে বলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা যোগ্য উত্তরসূরি ও দেশের দূরদর্শী বলিষ্ঠ নেতা শেখ হাসিনা ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালের আজকের এই দিনে গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
এবং প্রধানমন্ত্রী তার বালিকা বয়স থেকেই বিচক্ষণতা অদূরদর্শিতার সাথে তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে রাজনীতি ও দেশকে ভালোবাসার নৈতিকতা ছোটবেলা থেকেই তার ভিতরে উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি প্রজ্বলিত ছিল।
তারই প্রত্যয় আজ অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে একসাথে পরিবারের সকলকে বিদেশি চক্রে ঘাতকদের নীলনকশায় নির্মম ভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল।

এবং সেক্ষেত্রে দেশনেত্রী শেখ হাসিনা শোকে বিহ্বল ও নিস্তব্ধ হয়ে গেলেও পরে কঠোর হাতে হাল ধরে ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগঠন এর।
এবং দলটিকে সুসংগঠিত ও মজবুত হাতে ধরে রাখার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে পথ চলা শুরু করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। আর এই পথ চলার ক্ষেত্রেও অনেক বাধা হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি।
দেশনেত্রী শেখ হাসিনা কোনো অপশক্তির নীলনকশাকে তুয়াক্কা না করে।
স্বজন হারানোর বেদনা কে শক্তিতে রূপান্তরিত করে লাখো বাঙ্গালীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে দেশ স্বাধীন হয়েছে সে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞার সাথে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সকল নীলনকশা কে নস্যাৎ করে আজ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারাটা তার দৃঢ় প্রতিজ্ঞার প্রতিফলন।
তিনি আরো বলেন আজকের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবেসে তার জীবনের সব প্রাপ্তিকে উজাড় করে দিয়ে কেবল দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে
সার্বক্ষণিকভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। আজ থানার জন্মদিন থাকা সত্ত্বেও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭ তম অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গত ২৪ সেপ্টেম্বর অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের অংশগ্রহণে ইউ এন জি এর সাধারণ আলোচনায় অন্যান্য বছরের মতো বাংলায় ভাষণ দেন।
আর এই বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে সারা বিশ্বের বুকে স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান যা বিগত দিনের কোন সরকার এ ব্যাপারে ভুলক্রমেও চিন্তা করেনি।
প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রাটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শোভাযাত্রাটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় তাছাড়া নগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডের দলীয় কার্যালয় গুলোতে জন নেত্রী দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে জন্মদিন পালন করার সাথে প্রধান মন্ত্রীর উজ্জল ভবিষ্যৎ ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *