ইবি ক্যাপের উদ্যোগে ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

আহসান হাবীব রানা , ইবি।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যান্সার এ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর উইমেন (ক্যাপ) এর উদ্যোগে ‘যদি ক্ষতির কারণ লজ্জা হয়, তাহলে আর লজ্জা নয়!’ এই স্লোগান সামনে রেখে সচেতন বিষয়ক উঠার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া সদরের আবদালপুর ইউনিয়নের সুগ্রীবপুর গ্রামে দিনব্যাপী এ বৈঠক ও সচেতন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা যায়, সংগঠনটির সভাপতি সিয়াম মির্জার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি টিম সুগ্রীবপুর ফারুক হোসেনের বাসায় পৌঁছায় । সেখানে পূর্বেই সুগ্রীবপুর গ্রামের মা-বোনরা অপেক্ষারত ছিলেন। উক্ত উঠান বৈঠকে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতির সঞ্চালনায় প্রথমেই স্তন ক্যান্সার নিয়ে বক্তব্য রাখেন নাজনীন সুলতানা মেঘ ও জরায়ু মুখ ক্যান্সার নিয়ে কথা বলেন সুমাইয়া কলি। সর্বশেষে প্রশ্ন উত্তর পর্ব পরিচালনা করেন নাজনীন সুলতানা মেঘ।

এসময় উপস্থিত মা-বোনদের তথ্য সংগ্রহ করেন রুনা খাতুন। উক্ত উঠান বৈঠক শেষে কয়েকজন মা তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছে। উপস্থিত ক্যাপ সদস্যরা তাদের যথাযথ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য বলেছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ক্যাপ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সিয়াম মির্জা, সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম নেসা মীম, কোষাধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজনীন সুলতানা মেঘসহ সাধারণ সদস্যবৃন্দ।

সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম নেসা মীম বলেন, ক্যাপ মায়েদের সচেতন করার লক্ষ্য নিয়ে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে,তার অংশ হিসেবে আজকের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা স্বপ্ন দেখি, একদিন বাংলাদেশের প্রতিটি মা ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হবে, আর কেউ ঘাতক ব্যাধির শিকার হয়ে অসচেতনতায় প্রাণ হারাবেনা।

কোষাধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ বলেন, ক্যান্সারের ভয়াবহতা থেকে মুক্তির জন্য প্রত্যন্ত গ্রাম-এলাকায় ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত উঠান বৈঠক করে যাচ্ছে ক্যাপ। বাংলাদেশের প্রতিটি মাকে ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের উঠান বৈঠক কার্যকম চালিয়ে যাবো।

উল্লেখ্য, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত বর্তমানে বাংলাদেশের নারীরাও সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন স্তন ও জরায়ুমুখ ক্যান্সারে। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, আমাদের দেশে প্রতি বছর স্তন ক্যান্সার ও জরায়ু মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার নারী। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট এর তথ্য মতে আমাদের দেশে নারীদের বেশির ভাগ ক্যান্সার চিহ্নিত হচ্ছে অনেক দেরিতে অর্থাৎ এডভান্স স্টেজে। আর এর বড় কারণ হলো সচেতনতার অভাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *