বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :
এসো জ্ঞানের সন্ধানে ফিরে যাও দেশের সেবায়।
এই মহান প্রতিপাদ্যকে যদি সম্মুখে আনা হয় তাহলে শিক্ষাঙ্গনে কেন আজ মাদকের ছড়াছড়ি।
অথচ বাংলাদেশ সরকার এক সময় বলেছিল বাংলাদেশ হবে মাদকের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স।
এবং মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততার সাথে যারা চলবে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
অথচ আজ সারা দেশ তথা প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছে মাদকের মহোৎসব।
তারি দৃষ্টান্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
দেশের অন্যান্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কে তুলনা করতে গিয়ে বুক উঁচিয়ে বলা হতো সুশৃংখল মাদকমুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কে একধাপ এগিয়ে রাখা হতো এবং সর্ব গুণীজনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
অথচ আজ সকল প্রশংসা কে পদদলিত করে কলঙ্কলিপ্ত হতে হলো
শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে মাদক সহ মাদক সরঞ্জামের সন্ধান পাওয়ার কারণে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধান এ গিয়ে জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খান বাহাদুর আহসানুল্লাহ হল থেকে মদের বোতল গাঁজাসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিব্রত খোদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হলটির নিচতলায় এবং চতুর্থ তলার দুটি কক্ষ থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। মাদকের সঙ্গে ইউ আর পি এবং এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের দুই শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজার ছুটি শুরু হওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট তথ্য থেকে জানা যায় দীর্ঘদিন থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ আসছিল।
তার প্রমাণ সাপেক্ষে বৃহস্পতিবার খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ হলের প্রভোস্ট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক সহ কয়েকজন অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় তারা হল এর নিচ তলা ১০২ নম্বর কক্ষ এবং চতুর্থ তলা ৪১২ নম্বর কক্ষ থেকে বেশ কিছু মদের বোতল পাইপ গাঁজাসহ মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করেন।
এঘটনার এগ্রোটেকনোলজি ও ইউ আর পি ডিসিপ্লিনের দুই শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেছে।
খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ ইকবাল আহমেদ বলেন রুটিন ওয়ার্ক এর পাশাপাশি তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করি। মাদক সহ মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পূজার বন্ধের ছুটি শেষের পর আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করবো। প্রাথমিকভাবে সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে নেওয়া হয়নি।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরীফ হাসান লিমন আজ শনিবার দেশ চ্যানেল কে বলেন হলে এর দুটি কক্ষ থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দুই শিক্ষার্থীর মধ্য কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা আমরা যাচাই করব।