আজ মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা খুলনা নগরীর প্রতিটি পূজা মণ্ডপে চলছে মহা অষ্টমীর অঞ্জলি ও কুমারী পূজার প্রস্তুতি!!

বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :

আজ বাংলা ১৬ আশ্বিন সোমবার ইংরেজি ৩ অক্টোবর পঞ্জিকা সময় অনুপাতে পূর্বাহ্ন ৯:২৭মিঃ ২৮ সেকেন্ডের মধ্যে কিন্তু কালবেলা অনুরোধে ৬:৫৯ মি: ৪ সেকেন্ডের মধ্যে পুনঃঘটিকা ৮:২৮মি: ৩০ সেকেন্ডে হইতে পুর্বাহ্ন শ্রী শারদীয়া দূর্গাদেবীর মহাষ্টমী কল্পারম্ভ কেবল মহাষ্টমী কল্পারম্ভ মহাষ্টমী বিহিত পূজা প্রশস্তা।

আজ মহা শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষ্টমী। আজ কুমারী পূজা। ধর্মীয় শাস্ত্র মতে সব নারীতে মাতৃরূপ উপলব্ধি করায় কুমারী পূজার লক্ষ্য।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে মাতৃকা শক্তির বীজরুপা হচ্ছে বালিকা।
শ্রী রামকৃষ্ণের কথামৃত বলা আছে সবই স্ত্রীলোক ভগবতীর এক একটি রূপ। শুদ্ধতা কুমারীতে ভগবতীর বেশ প্রকাশ। প্রথা ও নিরাপত্তার কারণে মেয়েটির নাম এবং পরিচয় পূজা সূচনার আগে প্রকাশ করা হয় না। জানা যায় ১৯০১ সালে ভারতীয় দার্শনিক ও ধর্মপ্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ সর্বপ্রথম কলকাতার বেলুড়মঠে ৯ জন কুমারী কে পূজার মাধ্যমে এর পূনঃ প্রচলন করেন। তখন থেকে প্রতিবছর দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে পূজা চলে আসছে।
পূজার আগ পর্যন্ত কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। এছাড়া নির্বাচিত কুমারী পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপন আচার-অনুষ্ঠান করতে পারে। আজ সকালে নির্দিষ্ট কুমারী কে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরিধান করানো হবে। সাথে ফুলের মালা চন্দন ও নানান অলংকার প্রসাধন উপাচারে নিপুন সাজে সাজানো হবে কুমারীকে। খুলনা আইচগাতী ইউনিয়নের ভারত সেবা আশ্রম রামকৃষ্ণ মিশন সহ আরো কয়েকটি মন্দিরে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ৯ টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে মহাষ্টমীর বিহিত পূজা দুপুর মহাষ্টমীর মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং নগরীর বিভিন্ন মন্দির থেকে অসহায় দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তাছাড়া মা দুর্গার শ্রী চরণ কমলে অঞ্জলি নিবেদনের পরে পুণ্যার্থীরা কুমারীর মায়ের সামনে প্রার্থনা সমবেত হবেন। এ উপলক্ষে নগরীর প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপের আশপাশের ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আগামীকাল মহা নবমী। এবং পরশু মহা বিজয় দশমীতে দর্পণ বিসর্জন এর মধ্য দিয়ে মা দুর্গা দুর্গতিনাশিনী মর্তলোকের সকল ভক্তদের অশ্রু জলে ভাসিয়ে কৈলাসের উদ্দেশ্যে নৌকায় গমন করবেন।
এতে শাস্ত্রেও বলছেন মা নৌকায় গমন করার কারণে মর্ত্যলোকে অধিক বর্ষা ঝড় ও জলোবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও মর্ত্যলোকের সকল ভক্তরা মায়ের বিদায়লগ্নে বিসর্জনে অশ্রুসিক্ত নয়নে বুক ভরা কান্নায় মাকে বিদায় জানিয়ে ও মায়ের শ্রী চরণে প্রার্থনা জানিয়ে পৃথিবীর সকল অশুভ শক্তিকে নিধন করে
তোমার অশেষ কৃপায় মর্ত্যলোকে শান্তি প্রদান বর্ষিত করে মানবকুলের সকল অশান্তি বিনাশে শান্তীর বাতায়ন উন্মোচন করে যেও মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *