সাঁথিয়া (পাবনা) সংবাদদাতা :
দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধে পাকবাহিনী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, ধর্ষণ, ও হত্যাযজ্ঞ চালায়। মুক্তিকামী জনতা ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় পাকসেনাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। বেশ কিছু জায়গায় সন্মূখযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে বাধ্য হয়। ৮ ডিসেম্বর মুক্তিসেনা ও মুক্তিকামী জনতা সকালে সমবেত হয়ে সাঁথিয়া থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। ৯ ডিসেম্বর পুনরায় পাকসেনারা সাঁথিয়া প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে পাকসেনারা পিছু হটে। হানাদার মুক্ত হয় সাঁথিয়া ।
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ লতিফ বলেন, সাঁথিয়ার ১৮টি জায়গায় পাকবাহিনী, মুক্তিসেনা ও সাধারণ জনতাকে হত্যা করে গণকবর দেয়। আমরা বেশির ভাগ বধ্যভূমি চিহ্নিত করেতে পেরেছি। ওইসব জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগকে স্বরণীয় করে রাখার জন্য স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের সুদৃষ্টি থাকায় এখানে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, দূর্জয় সাঁথিয়া, বীর বাঙ্গালী, এবং হানাদার মুক্ত স্তম্ভ গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।”
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছ।