আজ পহেলা ফাল্গুন ঋতুরাজ বসন্তের শুভাগমন!!

বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :

প্রকৃতির রূপ-বৈচিত্রের অন্যতম ঋতুরাজ বসন্ত বিরাজ করছে আজ পহেলা ফাল্গুন জানান দিচ্ছে বৃক্ষ তরুলতা পলাশ শিমুল সেজেছে আপন সাজে।
দোয়েল কোয়েল গাইছে গান। আকাশ বাতাস নতুন রূপে উদ্বেলিত প্রাণ।
যেদিকে তাকাই রঙ্গের বাহারে ঢঙ্গে বাহার মাথায় হরেক রকম ফুল।
মাতিছে কপত কপতি ছুটেছে দিগ দিগন্তে ছাড়িয়া রেশমী কালো খোপার চুল।
পরনে শাড়ি আটপরিয়া বাহারি লাল হলুদ সাদা আরো হরেক রঙ্গে।
পায়ে আলতা রংবাহারি নাকে নোলক কোমরে বিছা টিপ লাগিয়ে ললাটে।
গহন মেলিয়াছে নদী মোহনা অথবা বৃক্ষ পটে।

আজ পহেলা ফাল্গুন ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন শীতের শেষে ঋতুচক্রের এই মাস বাঙালি জীবনের প্রকৃতির রূপ বদলে যায় শুরু হয় অন্যরকম জীবনধারা। ফুল ফুটবে বলে এই তো দিন। ঝরে পড়া মর্মর ধনীর দিন কচি পাতায় আলোর নাচনের মতই বাঙালির মনে ও দোলা লাগায়।
এই সময়ে শীতের জীর্ণতা সরিয়ে ফুলে ফুলে সেজে ওঠে প্রকৃতি গাছে গাছে নতুন পাতা স্নিগ্ধ সবুজ কচি পাতার ধীর গতিতে বাতাসের সঙ্গে বয়ে চলা জানান দেয় নতুন কিছুর।
শীত খোলসে ঢুকে থাকা বনবনানীর অলৌকিক স্পর্শ জেগে ওঠে।
এছাড়া ও পাতার আড়ালে আবডালে লুকিয়ে থাকা বসন্তের কোকিলের মধুর কুহুকুহু ডাকে ব্যাকুল করে তুলবে অনেকে বিরোধী অন্তর।
যদিও এই ব্যস্ত নগরীতে এ চিত্র দেখা বা সুনা দুষ্কর। তবুও কবির ভাষায় ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত।
বাংলা সাহিত্যের বসন্ত বন্দনা যেভাবে হয়েছে তেমনি রাজনীতিতে ও এ বসন্তের গুরুত্ব কম নয়।
এ বসন্ত এই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। যা পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা লাভ করেছিল। বসন্ত মানেই পূর্ণতা বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব মিলনের ঋতুর বাসন্তী রঙের সাজায় মনকে মানুষকে আনমনা।
অন্যদিকে শহরের নাগরিক জীবনে বসন্তের আগমন বার্তা নিয়ে আসে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
ও একুশে বইমেলা।
জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ ২২ বছর ধারাবাহিকতায় এবারও বসন্তের প্রথম দিনে বসন্ত উৎসবের উদ্যোগ নিয়েছে।

এ উপলক্ষে নগরীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানের ঢালীতে রয়েছে বসন্ত শোভাযাত্রা বসন্ত কথন পর্ব আবির ও প্রীতি বন্ধনী বিনিময়ে রং তুলিতে বসন্ত ও দলীয় সংগীত দলীয় আবৃত্তি একক সংগীত একক আবৃত্তি পরিবেশিত।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বসন্ত বরণ উপলক্ষে বাংলা ডিসিপিলিনের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৮ টায় কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে শোভাযাত্রা সকাল সারে ৮ টায় অদম্য বাংলার সামনে বসন্ত বরণ অনুষ্ঠান বিকেল ৩ টায় সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও নাটক মঞ্চায়ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *