প্রাণের বংলা ভাষা

লেখক: মোঃ মনজিরুল ইসলাম

ভিন্ন ভাষা খাইলো চুষে বাংলা ভাষার মৌ
আম্মা থেকে মাম্মি হল ওয়াইফ হয়েছে বউ।

পাখা শব্দ ধীরে ধীরে হয়ে গেল ফ্যান
এক”শ হলো হান্ড্রেড আর দশ হয়েছে টেন।

দুঃখিত টা মরে গেল সরির চাপে পড়ে
থ্যাঙ্ক ইউ টা বসল চেপে ধন্যবাদের ঘাড়ে।

শিক্ষাগুরু টিচার হল বিদ্যালয় স্কুল
না*পিত ভাইয়ের সাইনবোর্ডে হেয়ার হল চুল।

পাঠানো বা প্রেরণ শব্দ হয়ে গেল সেন্ট
বন্ধু বান্ধব ‌দোস্তরা সব হয়ে গেল ফ্রেন্ড।

অংশ শব্দ ধ্বংস হয়ে হয়ে গেল পার্টস
শুশ্রু সেবা প্রদানকারি সেবিকারা নার্স।

সঠিক শব্দ রাইট হলো আর ভুলটা হলো রং,
শক্তিশালী শব্দটা আজ হয়ে, গেল স্ট্রং।

ভাষার পথের প্যাচালী তে রাস্তা হল রোড
চাকরি-বাকরি জব হলো আর খাবার হল ফুড।

বিজ্ঞাপনে সাবান শব্দ হল বিউটি সোপ
যাতায়াত টা জার্নি হল স্টপ হয়েছে চুপ।

ভ্রমণ শব্দ ট্যুর হলো আর জুতো হল শো
মোবাইল ফোনে এক দুইয়েরা হইল ওয়ান আর টু

বাঙালির ভাত রাইস হয়েছে প্রাইচ হয়েছে দাম
প্রেসক্রিপশনে ইংরেজিতেই হইল আমার নাম।

বই বিতানের নাম করনে বই হয়েছে বুক
চালক থেকে ড্রাইভার হল হাজার হাজার লোক।

এই হল আজ ভাষার প্রতি বাঙ্গালীদের টান
কথায় কথায় সবার মুখে ভিন্ন ভাষার গান।

ভাষার প্রতি আমরা আজি এতই উদাসীন
নিজের ভাষা রেখেও করি অন্য ভাষা ঋণ।

মায়ের ভাষা ভাসিয়ে দিয়ে সাত সাগরের জলে,
গর্ব করে ভিন্ন ভাষায় যাচ্ছি কথা বলে।

শহীদরা যেই ভাষার লাগি বিলিয়ে দিল প্রাণ।
তার ব্যবহার কমিয়ে দেওয়া বড়ই বেমানান।

ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আসুন করি পণ
মায়ের ভাষায় করবো মোরা সকল, আলাপন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *