স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য মনোবল জুগিয়েছিলো বাংলাদেশ বেতার : সিটি মেয়র!!

বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো চীফ :

বাংলাদেশ বেতার খুলনা আঞ্চলিক কেন্দ্রের উদ্যোগে পরিচালক নিতাই কুমার ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এবারের প্রতিপাদ্য বেতার এবং শান্তি স্লোগানকে সামনে রেখে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেতার সম্মেলন কক্ষের চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সম্প্রচার মাধ্যম হিসেবে বেতারের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার বিষয়ক সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।

অনুষ্ঠান শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ সমাবেশ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সেমিনার সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারা দেশের ন্যয় খুলনাতেও বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হয়েছে।

পরে প্রধান অতিথি সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে বেতারের অদম্য ভূমিকার কথা ব্যাখ্যা করে বলেন ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ক্রান্তিলগ্নে ৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বজ্রকণ্ঠের সারা বিশ্ব কাঁপানো ঐতিহাসিক ভাষণ বাংলাদেশ বেতার সম্প্রচার করেছিল।
আর এই বাংলার অকুতোভয় সন্তান শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের প্রাণ সঞ্চারিত হয়ে নিরস্ত্র লাখো বাঙ্গালী দেশ মাতৃকাকে পাকিস্তানী পরা শক্তির শৃঙ্খল থেকে দেশ স্বাধীন করার লক্ষ্যে ২৫ শে মার্চ সব গভীর রাত থেকে মুক্তিযুদ্ধে শামিল হয়েছিল। এবং দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলাকালীন সময় বাংলাদেশ বেতার শিল্পী বৃন্দ সহ সকল কলাকৌশলীদের অদম্য প্রয়াস এর যুদ্ধক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শত্রু মোকাবেলার বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেছিল বাংলাদেশ বেতার।
এবং যুদ্ধ পরবর্তী সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ বেতারের সকল কলাকৌশলীও শিল্পীদের প্রকাশ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে খ্যাতি দিয়ে গেছেন।
আজ তারই প্রত্যয়ে ইতিমধ্য প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্প বিপ্লব শেষ করে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রবেশ করতে যাচ্ছি। শিক্ষা থেকে শুরু করে সবকিছুতে একটা পরিবর্তন এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্য দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ রুপান্তর করার ঘোষণা দিয়েছেন। করোনার সময় প্রধানমন্ত্রী আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জুম এর মাধ্যমে প্রশাসনকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে তিনি আরও বলেন বেতারের গুরুত্ব আছে এবং আরো বাড়বে।
বেতারকে আমরা খাটো করে দেখতে পারিনা। বেতার নিজস্ব জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছে বেতার যে অনুষ্ঠানগুলো তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফেসবুকে দেখতে ও রেডিওতে শুনতে পারি। এবং সময়ের পরিক্রমায় তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে বেতারের কদর এতটুকুও কমেনি বরং দর্শক শ্রোতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এবং বেতারের মাধ্যমে দেশের দুর্গম স্থানে শ্রোতাদের কাছে তথ্য পৌঁছে দিচ্ছে।
তাছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ বেতার বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে।

পাশাপাশি অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন দৌলতপুর সরকারি ব্রজলাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আতিকুজ্জামান ও রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন দৈনিক কালের কন্ঠ খুলনার ব্যুরো চীফ গৌরাঙ্গ নন্দী সেমিনারে খুলনা বেতারের আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক মোঃ নুরুল ইসলাম আঞ্চলিক প্রকৌশলী তাজুল নীহার আক্তার সহ বেতারের কর্মকর্তা শিল্পী কলাকৌশলীরা অংশগ্রহণ করে।
সেমিনারে খুলনা বেতারকে কিভাবে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে সেমিনারে অতিথিরা মতামত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে মেয়র দর্শক শ্রোতাদের অংশগ্রহণে কুইজ ও লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন।
এর আগে মেয়র এর নেতৃত্বে দিবস টি উপলক্ষে খুলনা বেতার প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বেতারের কর্মকর্তা কর্মচারী শিল্পী কলাকৌশলীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ অংশ নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *