মানুষের সাহায্য বাঁচতে চায় শ্রীমতী সাহলী রানী দাস,

মোঃ রমজান আলীঃ ক্রাইম রিপোর্টার

মেরুদন্ড রোগে আক্রান্ত শ্রীমতী সাহলী রানী দাস (৩০) বাঁচতে চায়। চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তশালীদের সহায়তা চায় তার পরিবার। শ্রীমতী সাহলী রানী দাস ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের তালসার গ্রামের সুধীর কুমার দাসের মেয়ে।
জানা গেছে,শ্রীমতী সাহলী রানী দাসের বিবাহ হয়,একই উপজেলার বলাবাড়ীয়ার পাচু দাসের সাথে ৭ বছর সংসারে পাচু দাসের মরন ব্যাধী হার্টের বাল্ব নষ্ট হয়ে মা-রা যান। তিনি রেখে যান একটি সন্তান শ্রী দুরন্ত দাস ও শ্রীমতী সাহলী রানী দাসকে। ছেলেটাকে বুকে নিয়ে বাবা-র বাড়িতে থাকেন। পুরুষের ন্যায় মাঠে কৃষি কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে কাটছিলেন দিনোপথ।

বিগত ১ বছর আগে দূরারোগ্যব্যাধী মেরুদন্ড রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন শ্রীমতী সাহলী রানী দাস।প্রথমে তার সু-চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়,ডাঃ মুহাম্মদ আজিজুর রহমান কনসালটেন্ট অর্থোপেডিক্স সার্জারী বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরিদপুর পরে দেখানো হয়,ডাঃ শাহ মোঃ ইয়াকুব-উল-আজাদ এম বিবিএস ডিপিএইস ডি.অর্থো ট্রোমা,ডাঃ ওবায়দুল হক রাজশাহী সহ অনেক জায়গায়।

বর্তমানে শ্রীমতী সাহলী রানী দাস চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত প্রায় অনেক টাকা খরচ করেছে। ৪ বোনের মধ্যে বড় শ্রীমতী সাহলী রানী দাস চিকিৎসার জন্য গচ্ছিত কিছু টাকা ছিলো সেই টাকা সব উজাড় করে দিয়েও কোন কিনারা পাচ্ছেন না তিনি ও তার পরিবার।

বর্তমানে প্রতিদিন চিকিৎসা বাবদ ৯ শত টাকা ব্যয় হচ্ছে। এখন শেষ পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা অপারেশন এর জন্য প্রায় ২ লাখ টাকার প্রয়োজন। অর্থ সংকটের কারনে শ্রীমতী সাহলী রানী দাসের বাবা সুধীর কুমার দাস বলেন, চিকিৎসার জন্য আমাদের পরিবারের যা কিছু ছিলো সব ব্যয় করা হয়েছে।

এখন অর্থ সংকটে মেয়ের চিকিৎসার খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মানবিকতার দৃষ্টিতে আমাদের একজন মেয়ে ও বোন হিসেবে যার যার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করলে।

তার চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারবো। আমি সমাজের মানবিক ও বিত্তশালীদের প্রতি অনুরোধ করবো আপনাদের সামান্য সহযোগিতায় হয়তো আমার মেয়ের জীবন বেঁচে যেতে পারে।সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: শ্রীমতী সাহলী রানী দাস পার্সোনাল বিকাশ নাম্বার ও সরাসরি কথা বলতে পারবেন ০১৩২০-৯৭৯৯১৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *